বাঁশখালীর ১৩ ইউনিয়নের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১৫ জুন। ইভিএম নিয়ে প্রার্থীর বেফাঁস মন্তব্যে নির্বাচন স্থগিত হয় চাম্বলে। সরল ও শেখেরখীল ইউনিয়ন ছাড়া বাকি ১১ ইউনিয়নে রয়েছে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী। তারা আওয়ামী লীগ মনোনিত প্রার্থীদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা দিয়ে প্রচার–প্রচারণা অব্যাহত রেখেছে। অভিযোগ রয়েছে বিএনপি–জামায়াতের প্রার্থীরা নিজেদের সুবিধার্থে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহীদের নানাভাবে সহযোগিতা দিচ্ছে যেন শেষ পর্যন্ত নির্বাচনের মাঠে থেকে যায় তারা। ২০১৭ সালের নির্বাচনে বাঁশখালীর ১৪টি ইউনিয়নের মধ্যে ১০টিতে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীরা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিল। এবার সে সব ইউনিয়নেও বিজয়ী হতে পারবে কিনা তা নিয়ে আওয়ামী শিবিরে চলছে নানা জল্পনা–কল্পনা।
ইভিএম নিয়ে বিরূপ মন্তব্যের কারণে চাম্বলের চেয়ারম্যান প্রার্থী মুজিবুল হক চৌধুরীর বিরুদ্ধে ৫ জুন মামলা করে নির্বাচন কমিশন। ৯ জুন হাইকোর্ট থেকে ৪ সপ্তাহের জন্য জামিন লাভ করলেও নিম্ন আদালতে হাজির হয়ে স্থায়ী জামিন নেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছে কোর্ট। একদিকে দলের বিদ্রোহী প্রার্থী, অপরদিকে নির্বাচন কমিশন ও পুলিশ প্রশাসন কঠোর অবস্থানে থাকায় কিছুটা বেকায়দায় রয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা।
এদিকে দক্ষিণ বাঁশখালীর ছনুয়া, পুঁইছড়ি, শেখেরখীল, গণ্ডামারা ও শীলকূপে শক্তিশালী প্রার্থী দিয়ে জামায়াত নিজেদের প্রার্থীকে জয়ী করতে রাতদিন গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছে। অপরদিকে ছনুয়া, পুঁইছড়ি, শেখেরখীল, গণ্ডামারা, শীলকূপ, সরল, বৈলছড়ি, কাথরিয়া, বাহারছড়া, কালীপুর, পুকুরিয়া ও সাধনপুর এলাকায় একক প্রার্থী দিয়ে সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে বিএনপি। প্রতিটি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের একাধিক প্রার্থী এবং দলের প্রার্থীর পক্ষে কর্মীদের আন্তরিকতার অভাব থাকায় জয়ের ব্যাপারে সন্দিহান হয়ে পড়ছেন খোদ নৌকার প্রার্থীরা। আওয়ামী লীগের অনেক নেতা–কর্মী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, বিদ্রোহী প্রার্থীদের নাম সর্বস্ব বহিষ্কার করলেও কোনো স্থায়ী ব্যবস্থা না নেওয়ায় আওয়ামী লীগ মনোনিত প্রার্থীরা ঘরের শক্র দমাতে হিমশিম খাচ্ছে।
বাঁশখালী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মুহাম্মদ ফয়সাল আলম জানান, ইভিএম পদ্ধতিতে প্রথমবারের মত প্রতিটি ইউনিয়নে অনুষ্ঠিত নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পাদনের লক্ষে আমাদের পক্ষ থেকে সবধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. কামাল উদ্দিন বলেন, বাঁশখালীর নির্বাচন যাতে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হয় তার জন্য সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। পুলিশ প্রশাসনের পাশাপাশি র্যাব ও বিজিবি দায়িত্ব পালন করবে। কোনো ধরনের অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহার যাতে না হয় তার জন্য পুলিশ এখন থেকে সাঁড়াশি অভিযান শুরু করেছে বলে তিনি জানান।