সামনাসামনি তাঁকে দেখি সিডনিতে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফর সঙ্গী হয়ে এসেছিলেন তিনি। এর আগে অজস্রবার দেখেছি সেলুলয়েডের রূপালী পর্দায়। স্বপ্নে জাগরণে। আমি তো কোন ছাড় গম্ভীর, হাসতে মানা বামপন্থীদের নেতা রাশেদ খান মেননও সংসদে বলেছিলেন কবরী ছিলেন তাঁদের হার্টথ্রব। স্মৃতি হয়ে যাওয়া কবরীকে জানতে হলে অনেক পথ পিছিয়ে যেতে হবে। ছিপছিপে এই তরুণীটির নাম ছিলো মীনা পাল। মীনা চট্টগ্রামের মেয়ে, স্বভাবতই তিনটি বিষয় ছিলো তার ভেতরে। জেদ, শুটকি ও দ্রোহ ছাড়া চট্টগ্রাম হয়? মীনার জেদ তাকে সুতরাং ছবির প্রথম শ্যুটিং এ চড় খাওয়ার পর তুলে দিয়েছিল শীর্ষ নায়িকার কাতারে। দ্রোহ তাকে তাড়িয়ে বেড়াতো বলেই বহুকাল কিংবদন্তি জুটি রাজ্জাক কবরী একসাথে অভিনয় করেন নি। সে দ্রোহই তাঁকে নারায়ণগঞ্জে এম পি বানিয়েছিল। রাস্তায় নামিয়েছিল আইভির সমর্থনে। অথচ কবরী এসব কিছুই হতে চান নি। তিনি হতে চেয়েছিলেন সুতির শাড়ী পরিহিতা বেনী দোলানো ব্যাগ ঝোলানো স্কুল মিস্ট্রেস। হয়তো বীরকন্যা প্রীতিলতাই ছিলেন মগজে। আজকের বাস্তবতায় সিনেমা হলগুলোর মতো অভিনয় অভিনেতারাও ধুঁকছেন। সিনেমার এই শ্বাসকষ্টের কালে নতুন প্রজন্ম তাকে সেভাবে চেনে না। মিডিয়ার কল্যাণে ধর্মীয় অধর্মীয় নেতারা এখন অভিনেতা এমন কি নায়ক নায়িকাদের চাইতেও পপুলার। তাই তারা বুঝতে পারবে না আমরা কী হারালাম কাকে হারালাম। নেচে নেচে দোল জাগানো মিষ্টি মেয়ে কবরী এতবড় আকাশ এতো নীল এতো সবুজেও বুক ভরে নিঃশ্বাস নিতে পারেন নি। হায়রে মহামারী হায় করোনা! আপনার লেখা শেষ ম্যাসেজটা এড়ফ ইষবংং, ঝঃধু ংধভব.আমি সযত্নে রেখে দিয়েছি। বিদায় সারাহ বেগম কবরী।