নগরীর বায়েজিদে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় একজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে জানা গেছে। গতকাল সোমবার সকালে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জসীম উদ্দিন ও জিএস কফিল উদ্দিন গ্রুপের মধ্যে এ গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। তবে এ ঘটনায় একজন গুলিবিদ্ধ হওয়ার কথা স্থানীয়রা জানালেও পুলিশ বলছে কেউ গুলিবিদ্ধ হয়নি। জানা যায়, গতকাল সকাল সাড়ে ১১টায় পাঁচলাইশ ওয়ার্ডের চালিতাতলী এলাকায় সিএনজি টেক্সি, ব্যাটারি রিকশা, নয়াহাটে অবৈধ দোকানপাট থেকে চাঁদাবাজি ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে এ ঘটনা ঘটেছে।
এ সময় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জসীম উদ্দিন তার লাইসেন্স করা শর্টগান দিয়ে এক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়েছে বলে জানিয়েছেন ঘটনাস্থলে থাকা বায়েজিদ থানার এস আই মফিজ।
স্থানীয়রা জানান, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জসিম উদ্দিন ও জিএস কফিল উদ্দিন গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় আধিপত্য নিয়ে বিরোধ চলছে। বায়েজিদ থানার এসআই মফিজ বলেন, এলাকায় ব্যাটারি রিকশা ও সিএনজি টেঙি নিয়ে গত রোববার দেলোয়ার ও আবদুল হামিদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। হামিদ জসীম গ্রুপের এবং দেলোয়ার জিএস কফিল গ্রুপের। আবদুল হামিদ বাসেতকে বেধড়কভাবে মারধর করা হয়।
এরপর জসিম উদ্দিন সকাল সাড়ে ১১টার দিকে এক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে। সেটা উভয় পক্ষ বসে তাদের মধ্যে ভুল বুঝাবুঝি হয়েছে বলে আবার মিটমাট হয়ে গেছে। এই ব্যাপারে কোনো মামলা হয়নি।
তবে স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, জসীম উদ্দিনের ছোড়া গুলিতে কফিল উদ্দিনের পক্ষের সেন্টু নামে এক ব্যক্তি আহত হয়। এ ঘটনায় দুপুরে কফিলের অনুসারীরা জড়ো হয়ে জসিমের পক্ষের উপর পাল্টা হামলা চালায়। এতে দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় হামলা-পাল্টা হামলা ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এ সময় ভয় ও আতঙ্কে লোকজন ছুটোছুটি করে সরে যায়। দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। পুলিশ উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।