চট্টগ্রাম–কক্সবাজার মহাসড়কে অভিযান চালিয়ে দুটি রাজ ধনেশ উদ্ধার করেছে চন্দনাইশ থানা পুলিশ। এ সময় মো. মিজানুর রহমান (৪৮) নামে এক পাচারকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়। গত রোববার রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার গাছবাড়িয়া কলেজ গেট এলাকায় পুলিশ চট্টগ্রামমুখী শ্যামলী পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসে তল্লাশি চালিয়ে ধনেশ দুটি উদ্ধার করে।
পুলিশ জানায়, গোপন সূত্রে বিরল প্রজাতির রাজ ধনেশ পাচারের সংবাদ পেয়ে চন্দনাইশ থানা পুলিশের একটি দল গত রোববার রাতে চট্টগ্রাম–কঙবাজার মহাসড়কের চন্দনাইশের গাছবাড়িয়া কলেজ গেট এলাকায় অবস্থান নেয়। এ সময় বিভিন্ন পরিবহনে তল্লাশি কালে রাত সাড়ে ১১টার দিকে চট্টগ্রামমুখী শ্যামলী পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস থেকে পাখি ২টি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় পাচারকারী মিজানুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার মিজানুর রহমান পাবনা জেলার বেড়া থানার সিংহাসন এলাকার মৃত ফজিআর রহমানের পুত্র এবং তিনি ওই বাসের সুপারভাইজার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
পরবর্তীতে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জিমরান মোহাম্মদ সায়েক ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে পাচারকারী মিজানুর রহমানকে ৪ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন। উদ্ধারকৃত রাজ ধনেশ ২টি অবমুক্ত করার জন্য গতকাল সোমবার পটিয়া বনবিভাগের নিকট হস্তান্তর করা হয়।
চন্দনাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন জানান, রাজ ধনেশ দুটি আলীকদম থেকে চকরিয়া হয়ে সাতক্ষীরা নেওয়া হচ্ছিল। পরে সেখান থেকে ভারতে পাচার করা হত। উদ্ধারকৃত রাজ ধনেশ দুটি খুবই মূল্যবান এবং বিরল প্রজাতির। এ দুটি পাখির আনুমানিক মূল্য ৫ লাখ টাকা।
তিনি বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে একটি চক্র বিভিন্ন প্রজাতির পশু–পাখি বিদেশে পাচার করার জন্য সক্রিয় হয়ে উঠেছে। এর আগে গত বৃহস্পতিবারও বাঁশখালী থানা পুলিশ এ চক্রের ২ সদস্যকে ৪টি রাজ ধনেশসহ গ্রেপ্তার করেছিল এবং ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে সাজা দেওয়া হয়। অভিযানের সময় আনোয়ারা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার কামরুল ইসলামও উপস্থিত ছিলেন।
উপজলো সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জিমরান মোহাম্মদ সায়েক জানান, রাজ ধনেশ পাখিগুলো পাচারের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়ার কথা পাচারকারী মো. মিজানুর রহমান ভ্রাম্যমাণ আদালতের নিকট স্বীকার করে। এ সময় তাকে বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনে ৪ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।