চলন্ত বাসে এক যাত্রীর পকেটে থাকা এক লাখ টাকা নিয়ে পালানোর সময় কর্তব্যরত ট্রাফিক সার্জেন্ট ও দুই কনস্টেবলের তৎপরতায় ধরা পড়েছে এক পকেটমার। উদ্ধার হয় ওই টাকাও। গতকাল সকাল সোয়া ১১টার দিকে প্রবর্তক মোড়ে এই ঘটনা ঘটে। পরে পাঁচলাইশ থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। গ্রেপ্তার সোহাগ শেখ (৩৫) নগরীর চিহ্নিত পকেটমার চক্রের সক্রিয় সদস্য বলে দাবি পুলিশের।
সিএমপির ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (প্রসিকিউশন-উত্তর) মো. মশিউর রহমান আজাদীকে বলেন, কবির আহম্মদ নামে এক দোকানদার তার শ্যালকের ভিসা করানোর উদ্দেশ্যে এক লাখ টাকা নিয়ে কক্সবাজার থেকে বাসযোগে মুরাদপুর মোড়ে নামেন। সেখান থেকে রিয়াজউদ্দিন বাজার ট্রাভেল এজেন্সি অফিসে যাওয়ার উদ্দেশ্যে ৩নং রাইডারে ওঠেন। বাসটি প্রবর্তক মোড় পার হওয়ার সময় কবির আহম্মদ দেখেন, তার প্যান্টের পকেটে থাকা এক লাখ টাকার বান্ডেলটি নেই। তিনি চেঁচামেচি শুরু করলে প্রবর্তক মোড়ে কর্তব্যরত সার্জেন্ট কবির হোসেন এবং কনস্টেবল সজল কুমার ও হাবিবুল্লাহ ছুটে আসেন। বাসটি দাঁড় করিয়ে একে একে যাত্রীদের নামিয়ে তল্লাশি করতে থাকেন। এসময় কনস্টেবল হাবিবুল্লাহ দেখেন বাসের এক যাত্রী জানালা দিয়ে লাফিয়ে দ্রুত রিকশায় ওঠে চলে যাচ্ছে। হাবিবুল্লাহ গিয়ে তাকে আটকান। পরে তার পকেট তল্লাশি করে এক লাখ টাকার বান্ডেলটি পাওয়া যায়। দোকানদার কবির আহমেদও জানান, গ্রেপ্তার সোহাগ শেখ তার পাশেই ছিল। ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মশিউর রহমান জানান, সোহাগ শেখের পোশাক পরিচ্ছদ দেখে মনে হবে না, সে একজন পকেটমার। পরে তাকে পাঁচলাইশ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।