এ বছর হজের খুতবা বিভিন্ন ভাষায় অনুবাদ করে তাৎক্ষণিক সমপ্রচারের উদ্যোগ নিয়েছে হারামাইন পরিষদ। সেই লক্ষ্যে এবার বাংলাসহ ২০ ভাষায় হজের খুতবার অনুবাদ সমপ্রচার করা হবে।
যে ২০টি ভাষায় হজের খুতবা অনুবাদ করা হবে সেগুলো হলো ইংরেজি, ফ্রেঞ্চ, মালয়, উর্দু, ফারসি, চীনা, তুর্কি, রাশিয়ান, হাউসা, বাংলা, সুইডিশ, স্প্যানিশ, সোয়াহিলি, আমহারিক, ইতালিয়ান, পর্তুগিজ, বসনিয়ান, মালায়লাম, ফিলিপিনো ও জার্মান। গত বৃহস্পতিবার হারামাইন ওয়েবাসইট জানিয়েছে, বিশ্বের বিভিন্ন ভাষাভাষী মানুষের কাছে ইসলামের বাণী পৌঁছে দিতে খুতবার অনুবাদ সরাসরি সমপ্রচার করা হবে। এবার হজের খুতবা দেবেন দেশটির সর্বোচ্চ উলামা পরিষদের সদস্য শায়খ ড. ইউসুফ বিন মোহাম্মদ বিন সাঈদ। স্মার্টফোন ও কম্পিউটার থেকে মানারাতুল হারামাইন (https://manaratalharamain.gov.sa/) ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে যেকোনো একটি ভাষা নির্বাচন করলে অনুবাদ শোনা যাবে।
বাংলা ভাষাভাষীদের জন্য হজের খুতবার বাংলা অনুবাদ করবেন ড. খলীলুর রহমান, আ ফ ম ওয়াহিদুর রহমান মাক্কী, মুবিনুর রহমান ফারুক ও নাজমুস সাকিব। তারা সবাই মক্কার বিখ্যাত উম্মুল কুরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছেন।
২০২০ ও ২০২১ সালে হজের খুতবার বাংলা অনুবাদ করেছেন মাওলানা আ ফ ম ওয়াহিদুর রহমান মাক্কী। মূলত তার মাধ্যমেই খুতবার বাংলা অনুবাদ কার্যক্রম শুরু হয়। প্রায়ই তিনি পবিত্র মসজিদুল হারামের জুমার খুতবার অনুবাদ করে থাকেন। তার বাড়ি কঙবাজারের রামু উপজেলার গর্জনীয়া পূর্ব বোমাংখিল গ্রামে। বর্তমানে তিনি উম্মুল কুরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি গবেষক হিসেবে অধ্যয়নরত।
১৯৯৮ সালে তিনি তামিরুল মিল্লাত কামিল মাদরাসা থেকে হাদিস বিভাগে কামিল ও মাদরাসা–ই–আলিয়া থেকে তাফসির বিভাগে কামিল ডিগ্রি সম্পন্ন করেন। এরপর ২০০৪ সাল পর্যন্ত তিনি রাজধানীর মোহাম্মদপুরে অবস্থিত গাউছিয়া ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার আরবি প্রভাষক ছিলেন।
মুবিনুর রহমান ফারুকের বাড়িও কঙবাজারের রামু উপজেলায়। আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম থেকে অনার্স সম্পন্ন করেন তিনি। বর্তমানে তিনি উম্মুল কুরা বিশ্ববিদ্যালয়ে এমফিল গবেষক হিসেবে অধ্যয়নরত আছেন। অপর অনুবাদক নাজমুস সাকিব একই বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী। তিনি রাজধানীর জামিয়া শরইয়্যাহ মালিবাগ মাদরাসা থেকে দাওরায়ে হাদিস সম্পন্ন করেন।
খুতবার অনুবাদক সহযোগী ড. খলীলুর রহমান। তাঁর বাড়ি কুমিল্লার শাসনগাছায়। সমপ্রতি তিনি পিএইচডি সম্পন্ন করেছেন। ১৯৯২ সালে তিনি ধামতী ইসলামিয়া কামিল মাদরাসা থেকে কামিল বিভাগে দেশে প্রথম স্থান অধিকার করেন। পরবর্তী সময়ে নওগাঁ কামিল মাদরাসার প্রধান মুহাদ্দিস হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।