অনেক বেলা হলো সূর্যের কোন দেখা নেই। ঝলমলে আলোক প্রভায় প্রকৃতির সাজ হয়নি। কালো মেঘে আকাশ ছেয়ে আছে। বিজলির আলোকচ্ছটায় ক্ষণিকের জন্য রঙিন হচ্ছে প্রকৃতি। বৃষ্টির ধারার মত মনের কোণে ঝরছে ভাবনার ধারা। সে এক অন্যরকম অনুভূতি। বাংলার কবিদের মত বর্ষাকে সত্যি মনে হচ্ছে বিরহের মাস। এইসব ভাবনার মাঝেই বার বার বাইরে যেতে ইচ্ছে করলেও কোন উপায় নেই। অবিরাম বৃষ্টিতে পথঘাট কাদা ও পানিতে ভরে উঠছে। হাঁটু সমান পানি, অবিরাম বৃষ্টিতে দিন মজুর, রিকশাওয়ালা, ছুটে চলে তাদের কাজে। কাজ না করলে পরিবার উপোস থাকবে। কখন বৃষ্টি থামবে তারা সে অপেক্ষা করে না। জানালার পাশে বসে ভাবা যায় আকাশটা যেন কাঁদছে অঝোর ধারায়। তার কান্নায় শোকাকুল সমগ্র প্রকৃতি। দূরের জলাশয় থেকে ভেসে আসছে ব্যাঙের ডাক।এমনি এক বর্ষণমুখর দিনে মেঘ দেখে মহাকবি কালিদাস রচনা করেন বিরহের কাব্য মেঘদূত। বিরহী মনে দোলা দেয় নানা ভাবনা। বৃষ্টিস্নাত একটি দিনের সমাপ্তিতেও হৃদয় ভাবনার সমাপ্তি নেই। প্রকৃতির সাথে মানুষের আত্মার সম্পর্কের কারণেই বিষণ্ন প্রকৃতির কান্নার সাথে কেঁদে উঠে আমাদের হৃদয়।