চার মাসের বকেয়া বেতনসহ চাকরি স্থায়ীত্বের দাবিতে অস্থায়ী পয়েন্টসম্যান ও গেটম্যানদের কর্মবিরতির কারণে চট্টগ্রাম গুডস পোর্ট ইয়ার্ড (সিজিপিওয়াই) থেকে তেল ও কন্টেনারবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে পড়েছে। গতকাল বুধবার সকাল ৯টা থেকে অস্থায়ী এই কর্মচারীরা আন্দোলনে নামেন। তাদের আন্দোলনের কারণে গতকাল সকাল থেকেই বন্দর থেকে পণ্য এবং তেলবাহী কোনো ট্রেন চলাচল করতে পারেনি। চট্টগ্রামসহ সারাদেশে পয়েন্টসম্যান ও গেটম্যানরা তাদের চার মাসের বকেয়া বেতন ও চাকরির স্থায়ীত্বের দাবিতে কর্মবিরতি পালন করছে।
এই ব্যাপারে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের এক কর্মকর্তা আজাদীকে জানান, ট্রেন চলাচল নির্বিঘ্ন করতে অতি জরুরি কর্মী পয়েন্টসম্যান এবং গেটম্যান। স্টেশন ছাড়ার আগে ট্রেনচালকের কাছে ট্র্যাক ও অন্যান্য বিষয়ে স্টেশনমাস্টারের নির্দেশনা পৌঁছে দেন পয়েন্টসম্যান। কোথাও কোথাও রেল ট্র্যাক পরিবর্তনের কাজটিও করেন পয়েন্টসম্যান। কিন্তু এখন এই অস্থায়ী পয়েন্টসম্যানদের বাদ দিয়ে আউসোর্সিংয়ের মাধ্যমে নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয়ায় তারা আন্দোলন শুরু করেছে। এমনিতেই পয়েন্টসম্যান সংকট রয়েছে। যারা আছে তারাও যদি আন্দোলনে নামে তাহলে সারাদেশে ট্রেন চলাচলের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হতে পারে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বন্দরের সিজিপিওয়াই শ্রমিক মোহাম্মদ রুমান বলেন, চার মাসের বেশি সময় ধরে আমরা বেতন পাচ্ছি না। আমরা কাজ করলেও আমাদের বেতনের বিষয়ে কোনো অফিস আদেশ প্রদান করছে না। আন্দোলনের বিষয়ে আমরা এর আগে কর্তৃপক্ষকে স্মারকলিপি প্রদান করেছি। কিন্তু কোনো সাড়া না পেয়ে আমরা আন্দোলনে নেমেছি। আবার আমরা শুনছি আমাদেরকে বাদ দিয়ে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে নতুন লোক নেয়া হবে।
জানা গেছে, পয়েন্টসম্যানের পদটি চতুর্থ শ্রেণির। এ পদে সরাসরি নিয়োগের সুযোগ নেই রেলওয়ের। বিদ্যমান নিয়োগবিধি অনুযায়ী, রেলওয়ের ট্রাফিক বিভাগে গেটকিপার, পোর্টার, সিলম্যান ও ওয়েটিংরুম বেয়ারাসহ অন্যান্য চতুর্থ শ্রেণির পদে ন্যূনতম তিন বছর কর্মরতদের মধ্য থেকে পয়েন্টসম্যান নিয়োগ দিতে হয়। কিন্তু এক দশক ধরে ট্রাফিক বিভাগে চতুর্থ শ্রেণির লোকবল নিয়োগে ধীরগতির পাশাপাশি একাধিক পদের নিয়োগ প্রক্রিয়া আটকে আছে মামলাজনিত কারণে।