বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় ‘দিতওয়া’, বন্দরে ২ নম্বর সংকেত

দেশের উপকূলে ‘প্রভাব ফেলবে না’

| শুক্রবার , ২৮ নভেম্বর, ২০২৫ at ৯:০৪ পূর্বাহ্ণ

দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন শ্রীলঙ্কা উপকূলে অবস্থানরত একটি লঘুচাপ একদিনের ব্যবধানে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে, যেটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘দিতওয়া’। এ ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রের কাছের এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল থাকার কথা জানিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে দেশের সমুদ্র বন্দরগুলোকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলেছে আবওহাওয়া অধিদপ্তর।

দিতওয়া’ এর কারণে সতর্কতা হিসেবে উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত গভীর সাগরে যেতে মানা করা হয়েছে, আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে। তবে এ ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব বাংলাদেশের উপকূলে সেভাবে পড়বে না বলে পূর্বাভাস দিয়েছেন আবওহাওয়াবিদ মো. শাহিনুল ইসলাম।

রাত সোয়া ১১টায় তিনি বলেন, দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন শ্রীলঙ্কা উপকূলের ওই লঘুচাপ একদিনের মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলেও সেটির প্রভাব বাংলাদেশের উপকূলে দেখা যাবে না। আবহাওয়ার পূর্বাভাস তুলে ধরে তিনি বলেন, এ ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে দেশের কোথাও বৃষ্টিপাত হওয়ারও সম্ভাবনা নেই। নতুন এ ঘূর্ণিঝড়ের ‘দিতওয়া’ হবে তা আগেই ঠিক করা ছিল। নামটি প্রস্তাব করেছিল ইয়েমেন। সোকোত্রা দ্বীপে এ নামে বিখ্যাত একটি লেগুন রয়েছে। খবর বিডিনিউজের।

লঘুচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেওয়ার পর আবওহাওয়া অধিদপ্তর এদিন রাতে বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, শ্রীলঙ্কা উপকূলে অবস্থানরত ‘দিতওয়া’ উত্তরউত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় (.৫ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশ ও ৮১.৬ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশ) অবস্থান করছে। ঘূর্ণিঝড়টি সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১৯১০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, কঙবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১৯৩০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ১৮৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৮৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল।

এটি আরও উত্তরউত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে বলে পূর্ভাবাস দিয়ে আবওহাওয়ার এ বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছের এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে। এটির কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ৮৮কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এজন্য চট্টগ্রাম, কঙবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ২ নম্বর সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধ‘আমাকে যারা চিনে না, তারা এখনো মাটির নিচে বসবাস করে’
পরবর্তী নিবন্ধসড়কে প্রাণ গেল কিশোর, এসআইসহ তিনজনের