১৯৭৬ সাল থেকে ফুলকির পথচলা। শিশুকিশোরদের মানসবিকাশে প্রতিনিয়ত সৃষ্টিশীল কাজকে ব্রত হিসেবে গ্রহণ করেছে ফুলকি পরিবারের সকল কর্মী। এ বছর ফুলকি ৫০ এ পদার্পণ করেছে। সুবর্ণজয়ন্তীবর্ষ উপলক্ষে সারাবছর নানা আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে। শিশু–কিশোর সাংস্কৃতিক উৎসব ফুলকির দ্বিবার্ষিক আয়োজন। এ বছর চতুর্থবারের মত এ উৎসব অনুষ্ঠিত হবে। এটি শিশুকিশোরদের সমাগমে তাদের প্রাণের উৎসবে রূপ নিয়েছে। আজ থেকে ১ ফেব্রুয়ারি তিনদিনব্যাপী এ উৎসব অনুষ্ঠিত হবে জেলা শিল্পকলা একাডেমির মূল মিলনায়তন, মুক্তমঞ্চ, গ্যালারি ও প্রাঙ্গণজুড়ে। উদ্বোধনী আয়োজনে অতিথি থাকবেন এভারেস্টজয়ী অভিযাত্রী বাবর আলী। এবারের উৎসবের প্রতিপাদ্য ‘মোরা ঝর্ণার মতো চঞ্চল, মোরা প্রকৃতির মতো স্বচ্ছল’।
ফুলকির সকল প্রকল্পের পরিবেশনা ছাড়াও এবারের উৎসবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবে স্বপ্ননগর বিদ্যা নিকেতন, স্বপ্নবাগিচা বিদ্যা নিকেতন, উপলব্ধি শিশুবিকাশ কেন্দ্র, ডা. খাস্তগীর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, চট্টগ্রাম সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, ন্যাশনাল প্রাইমারী বিদ্যালয়, এয়াকুব আলী দোভাষ উচ্চ বিদ্যালয়। থাকছে ব্রতচারী, কারাতে, বিশ্ববিখ্যাত চিত্রকলা ও চলচ্চিত্র প্রদর্শনী, পাপেট শো, বিজ্ঞানের উল্লেখযোগ্য আবিষ্কারের নমুনা ও প্রজেক্ট প্রদর্শনীসহ বর্ণাঢ্য সব আয়োজন। শেষদিন ১ ফেব্রুয়ারি শনিবার বেলা ৩টায় বিজ্ঞান বিষয়ে বক্তব্য রাখবেন বিজ্ঞান বক্তা আসিফ। মূল মিলনায়তনে থাকবে গল্প শোনার আসর।
শেষ দুদিন সকালে থাকছে শিশুকিশোরদের জন্য মাটির কাজ, পাপেট তৈরি, ছাপচিত্র ও তাঁত বুননের কর্মশালা। যেখানে ৯–১৬ বছর বয়সি যেকোনো শিশুকিশোরের জন্যে নিবন্ধন করে অংশগ্রহণের সুযোগ থাকবে। শেষ দিন সন্ধ্যায় ছোটদের জন্য গান পরিবেশন করবে সঙ্গীত সংগঠন ‘রক্তকরবী’। উৎসবের প্রতিটি আয়োজন শিশু–কিশোরের সুযোগ করে দেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন ফুলকির সর্বাধ্যক্ষ শীলা মোমেন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।