কার্তিক মাস। প্রকৃতিতে নেমে এসেছে শীত। শহরে মধ্যরাত থেকে বাড়তে থাকে শীতের তীব্রতা। তবে গ্রামের চিত্র একেবারেই ভিন্ন। বিকেলের শেষ আলো বিশ্রামে যাওয়ার পর থেকে একটু একটু করে নামতে থাকে শীত। রাত যত গভীর হয়, শীতের মাত্রাও তত বাড়তে থাকে। এমন শীতের রাতেও মীরসরাইয়ের পাহাড়ি পাদদেশের জনপদে টং ঘরে বসে অনেকে পাহারা দিচ্ছেন সোনালী ফসল। ক্ষেত পাহারা দেওয়ার এই টং ঘর একসময় সকল গ্রামে দেখা যেত। তবে এখন সচরাচর আর দেখা মিলে না। শীতের এই মৌসুমে হরেকরকমের শাক-সবজিতে ছেয়ে আছে গ্রামীণ জমিগুলো। তবে মীরসরাইয়ে কৃষকের পরিশ্রমের এই ফসলের উপর মাঝরাতে হানা দেয় বন্যশুকর। নষ্ট করে বিস্তীর্ণ ক্ষেত। সেজন্য এই অঞ্চলে এখনো কৃষকরা দিন-রাত ফসল পাহারা দেওয়ার জন্য রেখেছে টং ঘর।
স্থানীয় কৃষক আলাউদ্দিন, রাত জেগে টং ঘরে বসে পাহারা দিচ্ছেন নিজের গড়ে তোলা ফসলি ক্ষেত। তিনি বলেন, কিছু বন্য শুকর রাতে হানা দিয়ে ফসল নষ্ট করে ফেলে। ওরা খাওয়ার চেয়ে মাড়িয়ে দেয় পুরো ক্ষেত। সেজন্য রাত জেগে পাহারা দিতে হয়। আবার কখনো কখনো টং ঘরে থেকে পাহারা না দিয়ে শুধু একটি হারিকেন জ্বালিয়ে রাখলেও এসব বন্যপ্রাণী থেকে ফসলগুলোকে রক্ষা করা যায়। আলো জ্বালিয়ে রাখলে প্রাণীরা মনে করে টং ঘরে হয়তো কেউ জেগে আছে।