প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের উদ্যোগে ৪৬তম ব্যাচের ‘লাইব্রেরি বিষয়ক সচেতনতামূলক কর্মশালা’ গত ২২ জুন ইউনিভার্সিটির জিইসি ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন কলা ও সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহীত উল আলম। প্রক্টর মো. সোলাইমান চৌধুরীর সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন ইংরেজি বিভাগের চেয়ারম্যান সহযোগী অধ্যাপক সাদাত জামান খান, ডিরেক্টরেট অব স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ারের (ডিএসডব্লিউ) অ্যাডভাইজার সহযোগী অধ্যাপক ড. আবদুর রহিম ও ৪৬তম ব্যাচের কোর্স কো–অর্ডিনেটর সহকারী অধ্যাপক শান্তনু দাশ। কর্মশালা পরিচালনা করেন গ্রন্থাগারিক মো. কাউছার আলম। স্বাগত বক্তা ছিলেন ডেপুটি লাইব্রেরিয়ান মোহাম্মদ আলী।
কর্মশালা পরিচালনাকালে গ্রন্থাগারিক মো. কাউছার আলম লাইব্রেরি ব্যবহারের পদ্ধতি, তথ্য অনুসন্ধান কৌশল, ডিজিটাল রিসোর্স এবং গবেষণাভিত্তিক কার্যক্রমে গ্রন্থাগারের কার্যকরী ভূমিকা নিয়ে বিস্তারিত তুলে ধরে বলেন, মানুষের জ্ঞানের ভাণ্ডার, চিন্তা ও সভ্যতার অগ্রযাত্রার একটি মূর্ত প্রতীক হচ্ছে গ্রন্থাগার। পাঠাভ্যাস গড়ে তোলা ও শিক্ষা জীবনে জ্ঞান অন্বেষণে লাইব্রেরি বড় ভূমিকা পালন করে। বর্তমানে ডিজিটাল লাইব্রেরির সুবাদে জ্ঞানের সীমানা বিস্তৃত হয়েছে। প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ে সেই সীমাহীন ই–রিসোর্সের সর্বোচ্চ সুযোগ রয়েছে। প্রধান অতিথি ড. মোহীত উল আলম তাঁর বক্তব্যে বলেন, লাইব্রেরি বই পড়ার উত্তম জায়গা, এটি জ্ঞানচর্চা, গবেষণা এবং মানসিক উৎকর্ষ সাধনের নির্ভরযোগ্য স্থান। চাকরির আন্তর্জাতিক মার্কেটে একজন প্রতিযোগী হিসেবে শিক্ষার্থীদের তৈরি হতে হলে লাইব্রেরি ব্যবহারের প্রয়োজনীতা অপরিহার্য।
ড. আবদুর রহিম তাঁর বক্তব্যে শিক্ষার্থীদের নানান সমস্যা–সমাধান ও সুযোগসুবিধা বিষয়ে ছাত্রকল্যাণ বিভাগ সর্বদা কাজ করে যাচ্ছে বলে জানান। প্রক্টর মো. সোলাইমান চৌধুরী স্লাইড শো’র মাধ্যমে বিশ্বদ্যিালয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য পালনীয় বিধিমালা বিষয়ে বিস্তারিত অবহিত করেন।
উপস্থিত ছিলেন সহকারী রেজিস্ট্রার কামরুল ইসলাম, সহকারী অফিসার গাজী আহসান আলী ও রানা দে। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।