চট্টগ্রাম অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) ড. প্রকাশ কান্তি চৌধুরী বলেছেন, সরকারি সেবা আরও গতিশীল করতে সচিবালয়ের নির্দেশমালা আমাদের মাঠ প্রশাসনের জন্য অবশ্যই অনুস্মরণীয় একটি বিষয়। সচিবালয়ের ন্যায় প্রশাসনিক কর্মকর্তাদেরকে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে সহকারী কমিশনার নন ক্যাডার পদে পদোন্নতিসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা প্রদান অত্যন্ত জরুরি। সরকার এ বিষয়টি নিয়ে ভাবছে। ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত জেলা প্রশাসক সম্মেলনে এ বিষয়টি আলোচনা হওয়ার পর সরকার আমলে নেয়।
আগামীতে অনুষ্ঠিতব্য জেলা প্রশাসক সম্মেলনেও বিষয়টি উত্থাপন করা হবে এবং জেলা প্রশাসকদের নির্দেশনা দেয়া হবে। মাঠ প্রশাসনের যে কোনো সমস্যা সমিতির মাধ্যমে আমাদের নজরে আসলে আমরা পদক্ষেপ নেব। তাহলে কর্মকর্তারা কর্মউদ্দীপনা নিয়ে কাজ করবে। গতকাল শনিবার নগরীর লালখান বাজারস্থ একটি রেস্টুরেন্টের কনফারেন্স রুমে বাংলাদেশ মাঠ প্রশাসন কর্মকর্তা কল্যাণ সমিতি চট্টগ্রাম বিভাগীয় শাখার ঈদ পুনর্মিলনী ও সাধারণ সভায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। শুরুতে অতিথিদের ক্রেস্ট ও ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়।
অনুষ্ঠানের প্রধান বক্তা চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. বদিউল আলম বলেন, বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা প্রশাসনে কাজের পরিধি অনেকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
বাংলাদেশ মাঠ প্রশাসন কর্মকর্তা কল্যাণ সমিতি চট্টগ্রাম বিভাগীয় শাখার সভাপতি ও চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মুহাম্মদ ইউনুছ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। সাধারণ সম্পাদক প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. আবু বকর ছিদ্দিকের সঞ্চালনায় ঈদ পুনর্মিলনী ও সাধারণ সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) ড. প্রকাশ কান্তি চৌধুরী। প্রধান বক্তা ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. বদিউল আলম। বক্তব্য দেন, সিনিয়র সহ-সভাপতি বাবুল চন্দ্র নাথ, সহ-সভাপতি মো. মমিনুল হক, ড. আকবর হোসাইন, মো. শামসুল হক, মো. জসিম উদ্দিন, সোনারাম দে, মো. শাহ আলম, মো. সাহেব আলী, মো. কামাল উদ্দিন, কাজী আহছান উল্লাহ, হারাধন চন্দ্র মজুমদার, হারুনুর রশিদ, পিনাক পানি চৌধুরী, আবদুর রহিম, গৌরিকা চাকমা প্রমূখ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।