সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ভারতকে ১-০ গোলে হারিয়েছে বাংলাদেশ। গতকাল বুধবার কমলাপুর বীরশ্রেষ্ঠ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচের একমাত্র জয়সূচক গোল করেন খাগড়াছড়ির ফুটবল কন্যা আনাই মগিনি। দেশের হয়ে একমাত্র গোলটি করার পর থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রশংসায় ভাসছেন এই ফুটবলার।
তার একমাত্র গোলে ভারতের পরাজয়ের পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আনাই মগিনিকে নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন নেটিজানরা। ম্যাচের ৮০তম মিনিটে জয়সূচক গোলটি করেন মগিনি। রিপার ব্যাক হিলে মগিনির দুরপাল্লার শট লাফিয়ে উঠা গোলরক্ষকের গ্লাভস ছুঁয়ে জালে জড়ায়। এরপরই উৎসবে মাতে বাংলাদেশ। পুরো দেশের পাশাপাশি উচ্ছ্বাসটা একটু বেশি ধরা দিয়েছে পার্বত্য জনপদ খাগড়াছড়িতে।
খাগড়াছড়ি জেলা সদরের সাতভাইয়া পাড়ায় জন্ম আনাই মগিনির। জেলার মেয়ে মগিনির গোলের দেশের এই বিজয়কে বড় করে দেখছে স্থানীয়রা। খাগড়াছড়ির স্থানীয় বাসিন্দা মো. শফিক ফেসবুকে শিখেছেন, অভিনন্দন! অনূর্ধ্ব-১৯ জাতীয় নারী ফুটবল দল। খাগড়াছড়ির মেয়ে আনাই মগিনির একমাত্র গোলে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ।
পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান বীরক্রম কিশোর ত্রিপুরা লিখেন, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার কৃতি কিশোরী খেলোয়াড় আনাই মগিনির গোলে সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ চ্যাম্পিয়নশিপে ভারতকে হারিয়ে স্বাধীনতার সুর্বণজয়ন্তীতে আরেকটি বিজয় ছিনিয়ে এনেছে বাংলাদেশ। স্থানীয় বাসিন্দা চন্দন কুমার দে লিখেন, পুরো বিশ্বের মাঝে খাগড়াছড়ির আনাই মগিনি বাংলাদেশকে চ্যাম্পিয়ন করেছে। খাগড়াছড়ির পাশ্ববর্তী জেলা রাঙামাটির স্থানীয় সাংবাদিক হেফাজতে সবুজ লিখেছেন, তোমার (আনাই মগিনি) গোলে জিতেছে দেশ, অভিনন্দন টিম ও আমাদের আনাই মগিনি।
খাগড়াছড়ি জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক জুয়েল চাকমা বলেন, আনাই মগিনি খাগড়াছড়ির সন্তান। তার একমাত্র গোলে সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ভারতকে হারিয়ে বিজয়ী বাংলাদেশ। জেলা ক্রীড়া সংস্থার পক্ষ থেকে আমরা আনাই মগিনিকে অভিনন্দন জানাই।
প্রসঙ্গত, ২০০৩ সালের ১লা মার্চ খাগড়াছড়ির সাতভাইয়া পাড়ায় আনাই মগিনি জন্মগ্রহণ করেন। সাতভাই পাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় প্রতিযোগিতামূলক ফুটবলে অভিষেক তার।