তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ায় সম্মিলিত পরিষদের ‘প্যানেল লিডার’ ফারুক হাসানের সভাপতি হওয়াটা অনুমেয়ই ছিল। গতকাল সোমবার নির্বাচিত পরিচালকদের মধ্যে ‘অফিস বেয়ারার’ কমিটির নির্বাচনে সভাপতি হয়েছেন তিনি। চট্টগ্রামের পোশাক ব্যবসায়ী ওয়েল ডিজাইনার্সের সৈয়দ নজরুল ইসলাম প্রথম সহ সভাপতি হয়েছেন। তারা আজ দায়িত্বভার গ্রহণ করবেন। এছাড়া একই সাথে নির্বাচিত নতুন সহসভাপতিরা পরিচালনা পর্ষদে দায়িত্বভার গ্রহণ করবেন।
জানা গেছে, বিজিএমইএর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোহাম্মদ আবদুস সালামের সভাপতিত্বে গতকাল সোমবার বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় লকডাউনের কারণে আজ মঙ্গলবার সংগঠনের গুলশান কার্যালয়ে ফারুক হাসানের নেতৃত্বাধীন পর্ষদের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত হয়। তবে নতুন পর্ষদের দায়িত্ব নেয়ার কথা ছিল ২০ এপ্রিল। গতকাল নির্বাচন বোর্ড সভাপতি পদে ফারুক হাসানের মনোনয়নকে বৈধ ঘোষণা করে। এছাড়া প্রথম সহসভাপতি পদে সৈয়দ নজরুল ইসলাম, সিনিয়র সহসভাপতি পদে এস এম মান্নান, সভাপতি পদে মো. শহীদউল্লাহ আজিম, খন্দকার রফিকুল ইসলাম, মিরান আলী, মো. নাছির উদ্দিন এবং রকিবুল আলম চৌধুরীর মনোনয়নকেও বৈধ ঘোষণা করা হয়।
উল্লেখ্য. গত ৪ এপ্রিল বিজিএমইএর ২০২১-২৩ মেয়াদের পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচনে ফারুক হাসানের নেতৃত্বাধীন সম্মিলিত পরিষদ ঢাকা ও চট্টগ্রামের ৩৫ পরিচালক পদের মধ্যে ২৪টিতে বিজয়ী হয়। আর এ বি এম সামছুদ্দিনের নেতৃত্বাধীন ফোরাম ১১ পরিচালক পদে বিজয়ী হয়েছে। নির্বাচিত ৩৫ পরিচালকদের মধ্যে থেকে সভাপতি ও সাতজন সহসভাপতি পদে নির্বাচনের জন্য গত রোববার মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল। শেষ দিনে সভাপতি ও সহসভাপতি মিলিয়ে ৮ পদের বিপরীতে ৮ জনই মনোনয়ন দাখিল করেন।
জানতে চাইলে বিজিএমইএর প্রথম সহ-সভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম দৈনিক আজাদীকে বলেন, বিজিএমইএর নতুন পরিচালনা পর্ষদে আমি আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্বভার গ্রহণ করছি। এখন যেহেতু বৈশ্বিক করোনা মহামারি চলছে, তাই আমার নজর থাকবে, যেন কোনো অর্ডার বাতিল না হয়। এছাড়া নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পোশাকের শিপমেন্ট যেন হয়ে যায়। এছাড়া শ্রমিকের বেতন এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি নিয়েও কাজ করবো। এর বাইরে কাস্টমস এবং বন্ডের কিছু রেগুলার ওয়ার্ক আছে সেগুলো যেন সুন্দরভাবে সম্পন্ন হয়, সেই বিষয়টি মাথায় রাখবো।