প্রত্যাশিত ডিম না পেয়ে হালদার পাড়ে হতাশা (ভিডিও দেখুন)

সংগৃহীত ডিম থেকে রেণু রবিবার থেকে বিক্রির আশা

হাটহাজারী প্রতিনিধি | শুক্রবার , ২৮ মে, ২০২১ at ৬:৪৭ অপরাহ্ণ

হালদা নদী থেকে সংগৃহীত ডিম থেকে রেণু ফোটানোর জন্য ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন ডিম আহরণকারীর।
তবে অধিক পরিমাণ ডিম না পাওয়ায় ডিম ফোটানোর কাজে এত বেশি জৌলুশ নেই।
সরকারি হ্যাচারি ছাড়া যেসব ডিম সংগ্রহকারী মাটির কুয়ায় ডিম ফোটাতে চেয়েছিল তাদের অধিকাংশ ডিম নষ্ট হয়ে গেছে কুয়ায় জোয়ারের লবণাক্ত পানি ঢুকে।
একদিকে পর্যাপ্ত ডিম না পেয়ে ডিম আহরণকারীদের মধ্যে হতাশা, অন্যদিকে সংগৃহীত ডিম মাটির কুয়ায় ফোটাতে গিয়ে লবণাক্ত পানির কারণে নষ্ট হয়ে যাওয়ায় তাদের হতাশা আরো বেড়ে গেছে।
আগামী রবিবার (৩০ মে) থেকে রেণু বিক্রির আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন ডিম আহরণকারীরা।
সূত্রে জানা যায়, গত বছর হালদা নদী থেকে ২শ’ ৮০টি নৌকার মাধ্যমে ২৫ হাজার ৫শ’ ৩৬ কেজি ডিম সংগৃহীত হয়েছিল। এ বছর ৩শ’ ৪৩টি নৌকার মাধ্যমে ৮শ’ ৬ জন লোক মাত্র ৬ হাজার ৫শ’ কেজি ডিম সংগ্রহ করতে পেরেছে। এবার নদী থেকে এক চতুর্থাংশ ডিম পাওয়া গেছে।
ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’-এর প্রভাবের কারণে ডিম ছাড়ার পরিমাণ কমে গেছে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
বিগত বছর নদী থেকে অত্যধিক ডিম সংগৃহীত হওয়ায় রেণু ফোটাতে ডিম আহরণকারীদের বেশ বেগ পেতে হয়েছিল।
তাই রেণু ফোটানোর বিকল্প হিসাবে নদীর দুই পাড়ে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা আইডিএফ ৬২টি গ্রুপে ৬২টি প্রদর্শনী মাটির কুয়া স্হাপন করে দিয়েছিল। তাছাড়া মোট ১শ’ ৬৭টি মাটির কুয়া স্থাপন করা হয়েছে।
ডিম কম পাওয়ায় সরকারি হ্যাচারি বাদ দিয়ে আর রেণু ফোটাতে মাটির কুয়া ব্যবহার করতে হয়নি।
যেসব ডিম আহরণকারী হ্যাচারিতে নিয়ে গিয়ে রেণু ফোটানো ঝামেলা মনে করেন তারা মাটির কুয়ায় রেণু ফোটাতে গিয়েছিল, মাত্রাতিরিক্ত জোয়ারে লবণাক্ত পানি কুয়ায় ঢুকে ডিম নষ্ট হয়ে গেছে।
আগামী রবিবার রেণু বিক্রি শুরু হওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন সংশ্লিষ্টরা। এবার ডিম কম সংগৃহীত হওয়ার দামও বেশি হবে বলে মত প্রকাশ করা হচ্ছে।
ডিম সংগ্রহকারী কামাল সওদাগর ও আশু বড়ুয়া জানান, এবার ডিম কম পাওয়ায় ডিম আহরণকারীরা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাদের নিয়োগকৃত লোকজনের মজুরি, নৌকা ও সরঞ্জাম ভাড়া পুষিয়ে ওঠা কষ্ট সাধ্য হবে।
তাছাড়া যেসব ডিম আহরণকারী মাটির কুয়ায় ডিম ফোটানোর জন্য চেয়েছিল তাদের অনেক ডিম নষ্ট হয়ে গেছে কারণ
নদীতে জোয়ারের সময় লবণাক্ত পানি ডিম ফোটানোর কুয়ায় ঢুকে পড়ে।
এবার যে পরিমাণ ডিম পাওয়া গেছে এতে তাদের পরিশ্রমের টাকাও হবে না।
তারা এবার ডিম কম পাওয়ায় রেণুর দাম প্রতি কেজি লক্ষাধিক টাকা নির্ধারিত হবে বলেও তারা উল্লেখ করেন।
বিগত বছর রেণু ফোটাতে যে পরিমাণ জৌলুশ ছিল এবার ডিম কম সংগৃহীত হওয়ায় সেই জৌলুশও নেই বলে জানান তারা।
আজাদী’র চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি ইমাম ইমুর ধারণ করা হালদায় মাছের ডিম সংগ্রহের ভিডিওটি দেখতে ক্লিক করুন: https://www.facebook.com/DainikAzadi/videos/531260268043304

পূর্ববর্তী নিবন্ধসশরীরে নেয়া যাবে অনার্স-মাস্টার্স পরীক্ষা
পরবর্তী নিবন্ধকর্ণফুলী নদীতে ডুবে সিটি কলেজ ছাত্রের মৃত্যু