নগরের জিইসি মোড়ে প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রতিবারের মতো এবারও ইফতারের আয়োজন করেছে এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী ফাউন্ডেশন। প্রথম রোজা থেকে প্রতিদিন আড়াই থেকে তিন হাজার মানুষ এ আয়োজনে অংশ নিচ্ছেন। রিকশা চালক, ভ্যান চালক থেকে শুরু করে আশেপাশে নানা কাজে সম্পৃক্ত মানুষ এখানে ইফতার করেন। ক্যাম্পাসের আশেপাশে অনেক হাসপাতাল ও ক্লিনিক রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানে যারা চিকিৎসার জন্য আসেন তারাও হাজির হচ্ছেন আয়োজনে। ধনী–গরিব সকলে এক কাতারে বসেন। ইফতারের আগে হুজুর ইসলাম, রোজা ও নামাজ বিষয়ে বয়ান দেন। এরপর বিশেষ মোনাজাতে সবার জন্য দোয়া করা হয়। গত শনিবার ও গতকাল সরেজমিনে দেখা গেছে, ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে থাকা রান্নাঘরে ইফতার তৈরি করছেন বাবুর্চি ও তার সহযোগীরা। ইফতারের আইটেমের মধ্যে রয়েছে ছোলা, বেগুনি, পেঁয়াজু, মুড়ি, খেজুর, আলুর চপ, জিলাপি ও চিড়া। কয়েকদিন পরপর সেমাই, আখনি বিরানি ও পোলাও বিরানি দেওয়া হয়।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ইফতার তৈরি থেকে ইফতার করা পর্যন্ত পুরো বিষয়টি দেখভালে সেবক আছেন। এর মধ্যে ক্যাম্পাসের ছাত্ররাও জড়িয়েছেন। মূলত আল্লাহকে খুশি করতেই প্রতিদিন রোজাদারদের সেবা করে যাচ্ছেন তারা।
রিকশা চালক মনির মিয়া জিইসি মোড়, ওয়াসা, দুই নম্বর গেট ও প্রবর্তকসহ আশেপাশে রিকশা চালান। ইফতারের আগে প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় জিইসি ক্যাম্পাসে চলে আসেন জানিয়ে তিনি বলেন, আমি প্রায় সময় এখানে ইফতার করি। ভালো ভালো খাবার থাকে। পেট ভরে ইফতার করি। বিরানিও থাকে। সব মিলে এখানে ইফতার করতে ভালো লাগে।
এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী ফাউন্ডেশন কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানিয়ে পথচারী সোলাইমান বলেন, মানুষ নানা কর্মে পথেঘাটে থাকেন। ইফতারের সময় হয়ে গেলে দিক্বিদিক ছোটেন। এর মধ্যে জিইসি এলাকার সংশ্লিষ্ট রোজাদারদের প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় জিইসি ক্যাম্পাস আদর্শ জায়গা।
রোজাদাররা বলছেন, মহিউদ্দিন চৌধুরী ফাউন্ডেশনের ইফতার মানে ভিন্ন কিছু, ভিন্ন আমেজ। তাই প্রতিবার এই আয়োজনে মিলিত হন তারা। এদের মধ্যে অনেকে আছেন যারা মহিউদ্দিন চৌধুরীর সান্নিধ্য পেয়েছিলেন। বর্তমানে তিনি না থাকলেও রোজাদাররা তাকে ভুলেননি। তার নামে করা ফাউন্ডেশনের ইফতার আয়োজনের প্রতি মানুষের আগ্রহ দিন দিন বেড়ে চলেছে।
এ বিষয়ে এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর ছেলে বোরহানুল হাসান চৌধুরী সালেহীন আজাদীকে বলেন, আগের মতো প্রচুর মানুষের সাড়া পাচ্ছি। এখন প্রতিদিন আড়াই থেকে তিন হাজার মানুষ আমাদের আয়োজনে হাজির থাকছেন। ধারণা করছি, এ সংখ্যা আরো বাড়বে। আমাদের আয়োজনে ধনী–গরিব বলতে কিছু নেই। গরিব লোক যেমন হাজির থাকেন, ধনী লোকও থাকেন। আমরা সবার জন্য ইফতারের আয়োজন করি।