প্রকৃত ধর্মীয় অনুষ্ঠান মানুষের মনকে কোমল করে : সুজন

| শুক্রবার , ১১ ডিসেম্বর, ২০২০ at ৬:১০ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন বলেন, ১৯৭১ এ মহান মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদের রক্তের সাগরে বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক শক্তির পতন ঘটেছে। সাম্প্রতিক সময়ে ধর্ম নিয়ে কেমন যেন একটা অসহিষ্ণুতা বিরাজ করছে। এখন সমাজে এমন লোকও আছে যারা ধর্মকে ধর্মীয় কাজে ব্যবহার না করে অন্য কাজে বেশি ব্যবহার করছেন। যে ধর্মীয় অনুষ্ঠান মানুষের মনকে কোমল করে না, সে ধর্মীয় অনুষ্ঠান সুদূর আলস্য আনে। ধর্মের মূলবাণীকে ধারণ করার মাধ্যমে আত্মার পরিশুদ্ধি ও প্রাপ্তি ঘটে। তিনি গত বুধবার সন্ধ্যায় নগরীর টিআইসি মিলনায়তনে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন পূজা উদ্‌যাপন পরিষদের উদ্যোগে বিজয়া পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন। অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি ছিলেন চসিকের নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক। উদ্বোধক ছিলেন বিজিসি ট্রাস্টের ভাইস চ্যান্সেলর সরোজ কান্তি সিংহ হাজারী। পূজা উদ্‌যাপন পরিষদের সভাপতি তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ঝুলন কুমার দাশের সভাপতিত্বে এতে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাবেক কাউন্সিলর জহরলাল হাজারী, চসিকের হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা আশুতোষ দে। প্রধান অতিথির বক্তব্যে সুজন আরো বলেন, মানুষের মধ্যে ধর্মের কারণে মতপার্থক্য থাকতে পারে। আবার একই ধর্মের অনুসারীদের মধ্যেও ধর্মীয় বিভিন্ন লৌকিকতা নিয়ে মতপার্থক্য থাকা স্বাভাবিক। কিন্তু এ নিয়ে জবরদস্তি করে কাউকে থামানোর চেষ্টা করা ঠিক না। ক্ষমতা কেন্দ্রিক রাজনীতির কারণে ধর্ম-বর্ণের নামে সংঘাত সৃষ্টি করা মানে আগ্রাসী চেতনার জন্ম দেয়া। এ ধরনের আগ্রাসী চেতনার পতন হওয়া জরুরি। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবিচারকের ওপর হামলার প্রতিবাদ
পরবর্তী নিবন্ধফড়িং চোখের দৃষ্টি