পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) চট্টগ্রাম মেট্রোর পুলিশ সুপার নাইমা সুলতানার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে দায়ের করা মামলায় সাবেক এসপি বাবুল আক্তারকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। গতকাল বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ এ আদেশ দেন। খবর বাসসের।
একইসঙ্গে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদারের দায়ের করা মামলায় বাবুল আক্তারের জামিন আদেশ দুই মাসের জন্য স্ট্যান্ডওভার (মুলতবি) রেখেছেন আদালত। আদালতে বাবুল আক্তারের পক্ষে শুনানি করেন এডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পী ও সহকারী এটর্নি জেনারেল আনিসুর রহমান।
গত বছরের ১৯ অক্টোবর বাবুল আক্তার ও বিদেশে পলাতক সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইনসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে খুলশী থানায় মামলা করেন পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোর পুলিশ সুপার নাইমা সুলতানা। ২৭ অক্টোবর ইলিয়াস হোসেনসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন বনজ কুমার মজুমদার। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে ধানমন্ডি থানায় এই মামলা করা হয়। মামলার অন্য আসামিরা হলেন মো. হাবিবুর রহমান লাবু ও আব্দুল অয়াদুদ মিয়া। মামলায় অজ্ঞাত আসামিদেরকেও আসামি করা হয়েছে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, বাবুল আকতারসহ অন্য আসামিরা মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলার তদন্ত ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার ষড়যন্ত্র করছেন। এর অংশ হিসেবে ইলিয়াস হোসেনকে দিয়ে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য দিয়ে ‘স্ত্রী খুন স্বামী জেলে খুনি পেয়েছে তদন্তের দায়িত্ব’ শিরোনামে ফেসবুক ও ইউটিউবে ডকুমেন্টারি ভিডিও প্রচার করছেন। মামলার অভিযোগে আরও বলা হয়, ভিডিওতে যে বক্তব্য রয়েছে তার মাধ্যমে রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত করার চেষ্টা করা হয়েছে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট, অস্থিরতা এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা করা হয়েছে।