চবিতে সংঘাতের পেছনের কারণ খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি

চট্টগ্রামে শিক্ষামন্ত্রী

আজাদী প্রতিবেদন | সোমবার , ৫ জুন, ২০২৩ at ৬:০০ পূর্বাহ্ণ

তীব্র দাবদাহে দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো ৮ জুন পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধে এখনই ভাবা হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তীব্র গরমে স্কুলকলেজ বন্ধের কোনো চিন্তাভাবনা রয়েছে কিনা, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গত কয়েকদিন ধরে দেশে খুব গরম পড়ছে। তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার কথা এখনই আমরা ভাবছি না। করোনা মহামারিতে আমাদের শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হয়েছে। এখন শিক্ষকদের বলেছি, যতটুকু পারেন সেটা এগিয়ে নিয়ে যান।

গতকাল রোববার সকালে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজের সম্মেলন কক্ষে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের এক কর্মশালায় যোগদান শেষে দীপু মনি এসব কথা বলেন। মাতৃভাষা পিডিয়া সংকলন প্রকাশের উদ্যোগ হিসেবে ‘মাতৃভাষা পিডিয়াভুক্তি লিখন’ বিষয়ে এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়। কর্মশালায় শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি প্রধান অতিথি ছিলেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, চবি উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার ও চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান। সভাপতিত্ব করেন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক প্রফেসর ড. হাকিম আরিফ। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষকদের বাচ্চাদের প্রতি যত্নশীল হতে বলব। স্কুলে তাদের যত্ন নিতে হবে। বাচ্চা যাতে রোদে বাইরে যেতে না পারে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। তীব্র গরমে বেশি বেশি পানি পান করার পরামর্শ দিতে হবে। যতকুটু সম্ভব শ্রেণিকক্ষের মধ্যে যেন বাচ্চারা থাকে। যদি বাইরে যায়ও, তারা যেন গাছের নিচে কিংবা ছায়ার মধ্যে থাকে।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের সংঘাতের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে যে অস্থিরতা চলছে, সেটা যদিও সাময়িক, তবুও কোনোভাবেই কাম্য নয়। শিক্ষার্থীদের কাজ পড়ালেখা করা। অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি নষ্ট না করে তাদের উচিত গবেষণায় মনোযোগ দেওয়া। তাদের সংঘাতের পেছনের কারণ আমরা খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি।

দীপু মনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর থেকে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অস্ত্রের ঝনঝনানি কমে গেছে। ক্যাস্পাসগুলো এখন আগের মতো নেই। শান্তি শৃঙ্খলা ফিরে এসেছে। পড়াশোনার সুষ্ঠু পরিবেশ বিরাজ করছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন গবেষণা হচ্ছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপিবিআইয়ের এক মামলায় বাবুল আক্তারের জামিন, আরেকটি স্ট্যান্ডওভার
পরবর্তী নিবন্ধ৭৮৬