কর্ণফুলীর হামিদ চরে নির্মাণ হতে যাওয়া ‘মিনি সেক্রেটারিয়েট ফর চট্টগ্রাম’ প্রকল্পের নকশা উপস্থাপনের কাজ পিছিয়েছে। সংশ্লিষ্টদের মতামতের ভিত্তিতে নকশায় পরিবর্ধন ও সংযোজন কাজ চলমান থাকায় তা পিছিয়ে গেছে। পরিবর্ধন ও সংযোজনের কাজ শেষে চলতি মাসের শেষের দিকে তা প্রধানমন্ত্রী বরাবর উপস্থাপন করা হবে। এর আগে ২৩-২৪ ডিসেম্বর সরকারের উচ্চ পর্যায়ের একটি টিম হামিদ চর পরিদর্শন করবেন।
জেলা প্রশাসক মো. মমিনুর রহমান গতকাল আজাদীকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আমাদের তৈরিকৃত নকশা প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিবসহ অনেকে দেখেছেন। তাঁরা গুরুত্বপূর্ণ মতামত দিয়েছেন। প্রকল্পের জায়গা বৃদ্ধিসহ নকশায় কিছু পরিবর্ধন ও সংযোজন হবে। যার কারণে চলতি মাসের শুরুর দিকে উপস্থাপনের কথা থাকলেও তা সম্ভব হয়নি। তবে চলতি মাসের একেবারে শেষের দিকে প্রধানমন্ত্রীর কাছে পরিবর্ধন ও সংযোজনকৃত নকশা উপস্থাপন করা হবে। জেলা প্রশাসক বলেন, বৃহৎ প্রকল্প হওয়ায় অনেকগুলো বিষয় গুরুত্বের সাথে দেখতে হচ্ছে। আমরা ভালো মানের একটি নকশা আশা করছি।
জেলা প্রশাসন থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, আগামী এক বছরের মধ্যেই শুরু হতে যাচ্ছে হামিদ চর প্রকল্পের কাজ। যেখানে গড়ে তোলা হবে প্রায় ৪৪ টি সরকারি অফিস। সমন্বিত এ প্রকল্পের নাম দেয়া হয়েছে ‘মিনি সেক্রেটারিয়েট ফর চট্টগ্রাম’। নগরীর চান্দগাঁও থানাধীন বন্দর মৌজার কর্ণফুলীর তীরে জেগে উঠা হামিদ চরের ১১০ একর জায়গায় নির্মাণ হবে সরকারের এ প্রকল্প। মূলত নগরীর চাপ কমাতে ও নাগরিকদের এক জায়গায় সব ধরনের সেবা দিতে উদ্যোগটি নেয়া হয়। প্রকল্পে কোর্ট হিলে থাকা চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়, জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও সার্কিট হাউজসহ নগরীর বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে থাকা অন্যান্য কার্যালয়ও থাকবে। পাশাপাশি নির্মাণ করা হবে কনভেনশন সেন্টার, শপিং মল, মাল্টি স্টোরেড কার পার্কিং, স্কুল-কলেজ, পরিবহন পুল, পেট্রোল পাম্প, স্মৃতিসৌধ, নভোথিয়েটার ও মসজিদসহ বিভিন্ন স্থাপনা। এদিকে প্রকল্পের কাজ দ্রুত শুরু করতে গত ২৩ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস হামিদ চর পরিদর্শন করেন। তিনি সেদিন বলেছিলেন, দ্রুত ভিত্তি প্রস্তর স্থাপনের মাধ্যমে এ প্রকল্পের কাজ শুরু হবে। জেলা প্রশাসন সূত্র আরো জানায়, সমন্বিত প্রকল্পের নকশা প্রস্তুতের কাজটি খুব সর্তকতার সাথে করা হচ্ছে। অনেক বড় প্রকল্প হওয়ায় এ সতর্কতা অবলম্বন। নকশা তৈরিতে পৃথিবীর সুন্দর ও মনোরম যেসব শহর রয়েছে, সেইগুলো অনুসরণ করা হচ্ছে। এর মধ্যে মালয়েশিয়ার প্রশাসনিক রাজধানী পুত্রজায়াও রয়েছে। হামিদ চর প্রকল্পে পুত্রজায়ার ছায়া থাকবে।