বাংলাদেশের অন্যতম সুন্দর ৩টি (রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি এবং বান্দরবান) জেলা নিয়ে গঠিত অপরূপ সৌন্দর্যের পার্বত্য চট্টগ্রাম। পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড় ও উপত্যকার সৌন্দর্য দেশের মানুষদের ছাড়িয়ে ভিন্ন দেশের মানুষদেরও মন কেড়েছে বারবার। প্রতিবছর দেশি পর্যটকদের পাশাপাশি বহু বিদেশি পর্যটকের দেখা মেলে পাহাড়ি শহরগুলোতে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের পাশাপাশি এই এলাকার আরেকটি সৌন্দর্য হলো, বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর মানুুষ মিলেমিশে বসবাস করে এখানে। বাঙালিসহ প্রায় ১৩ টি ভিন্ন ভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর মানুষের বসবাস রয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রামে। বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর মধ্যকার এই সম্প্রীতির কারণেই পার্বত্য চট্টগ্রামের সৌন্দর্য আরো দ্বিগুণ বৃদ্ধি পায়। কিন্তু বর্তমানে এই সম্প্রীতি যেনো হুমকির মুখে! বিভিন্ন সন্ত্রাসী দল বর্তমানে বিভিন্নভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে যেনো বাঙালিদের সাথে অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীর দ্বন্দ্ব–সংঘাত লেগে থাকে প্রতিনিয়ত। জাতি–ধর্ম–বর্ণ সবকিছুর উর্ধ্বে আমরা সবাই মানুষ, পার্বত্য চট্টগ্রাম যেনো এই প্রচলিত কথাটির জ্বলন্ত উদাহরণ। এই অসাধু ও সন্ত্রাসী চক্রগুলোর বিরুদ্ধে জেগে ওঠার সময় হয়েছে, না হলে দিনে দিনে এই সম্প্রীতি পুরোপুরি বিলীন হয়ে যাবে। পাহাড়ের সৌন্দর্যও ফিকে হয়ে যাবে এই সম্প্রীতির অভাবে! সেনাবাহিনীর পাশাপাশি আমাদের সকলকে এগিয়ে আসতে হবে পাহাড়ের এই সম্প্রীতি রক্ষার্থে। বাংলাদেশ সরকারকে আরো সোচ্চার হতে হবে পার্বত্য চট্টগ্রামের বিষয়গুলো নিয়ে। পার্বত্য চট্টগ্রামে অস্থিতিশীলতা তৈরি হলে তা পুরো বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করে তুলবে, যা মোটেও সুখকর হবে না। সর্বোপরি, পাহাড়ের সম্প্রীতি রক্ষার ক্ষেত্রে সকলেরই যার যার অবস্থান থেকে যথাসম্ভব ভূমিকা রাখতে হবে।
তাসনিয়া তাবাচ্ছুম
শিক্ষার্থী
স্নাতক ২য় বর্ষ, বাংলা বিভাগ,
চট্টগ্রাম কলেজ।