আমাদের মানবসমাজে প্রত্যেকের চলার পথে পারস্পরিক সাহায্য সহযোগিতার প্রয়োজন ক্ষেত্রবিশেষে অত্যাবশ্যক হয়ে উঠে। বাধা–বিঘ্ন, ঘাত–প্রতিঘাতে ভরপুর মানবজীবন কখনো অপরের সহযোগিতা ছাড়া কেউ একাকী পার করতে পারে না। আমরা প্রতিনিয়ত আমাদের চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা ঘটনা–দুর্ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী হই। অনাকাঙ্ক্ষিত এসব ঘটনার জন্য হয়তো কেউ না কেউ দায়ী থাকে। কিন্তু নিজের দায়িত্ববোধ থেকে ঘটনায় পতিত ব্যক্তির সাহায্য সহযোগিতায় এগিয়ে আসাটা আমাদের প্রত্যেকের প্রাথমিক কর্তব্য বলে মনে করতে হবে। আমাদের কারও সময়মত সহযোগিতায় হয়তো বিপদাপন্ন ব্যক্তি প্রাণে বেঁচে যেতে পারে। আমাদের সমাজে বর্তমানে মানুষ প্রায়শঃ বিভিন্ন অযাচিত ঘটনার মুখোমুখি হচ্ছে। সামাজিক বিভেদ, পারস্পরিক হিংসা–বিদ্বেষ, অসহিষ্ণু মনোভাব, বৈষম্যমূলক আচরণে পারিপার্শ্বিক পরিবেশ অনেকটা বিষময় হয়ে উঠেছে। ফলে যে কোনও সময় যে কোন স্থানে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে চলেছে। বিশেষ করে উঠতি বয়সী তরুণদের একাংশের বেপরোয়া আচরণ, নিজেকে সবসময় শ্রেষ্ঠ ভাবার উগ্র মানসিকতা, অস্বাভাবিক গতিতে মোটরবাইক চালিয়ে পথচারীদের আহত নিহতের ঘটনা স্বাভাবিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ ধরনের অসুস্থ মানসিকতা থেকে আমাদের সন্তানদের বেরিয়ে আসতে হবে। সবার আগে জীবন, বেঁচে থাকাই জীবনের সার্থকতা এ ধারণা তাদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে।