অবিলম্বে দুর্নীতি দমন কমিশন পুনর্গঠন করে দুর্নীতি ও লুটপাটের সাথে জড়িত পতিত স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী, এমপি ও নেতাদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ১৭ বছরের শাসনামলে দেশকে অর্থনৈতিকভাবে তলাবিহীন ঝুড়িতে পরিণত করেছে। আওয়ামী লীগের মন্ত্রী–এমপিরা দুর্নীতির মাধ্যমে দেশ থেকে লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছেন। পাচার হওয়া এসব টাকা দেশে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নিতে হবে।
তিনি গতকাল রোববার বিকেল নগরের নাসিমন ভবন বিএনপি কার্যালয়ের সামনে চট্টগ্রাম–১০ নির্বাচনী এলাকার বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনসমূহের উদ্যোগে আয়োজিত কর্মী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন। এতে প্রধান বক্তা ছিলেন নগর বিএনপির সাবেক সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন। পাহাড়তলী থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক কাউন্সিলর শামসুল আলমের সভাপতিত্বে সমাবেশ সঞ্চালনা করেন হালিশহর থানা বিএনপির সভাপতি মোশারফ হোসেন ডিপ্টি। সাবেক মন্ত্রী আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, স্বৈরাচার ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে বিএনপির মত এত দীর্ঘ সংগ্রাম কোনো সময়ে কেউ করেনি। দীর্ঘ ১৭ বছরের আন্দোলনে বিএনপির লক্ষ লক্ষ নেতাকর্মী জেল, জুলুম ও নির্যাতনের স্বীকার হয়েছে; কিন্তু কেউ আদর্শচ্যুত হয়নি। তিনি বিএনপিকে এখন বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং অপ্রতিদ্বন্দ্বী রাজনৈতিক দল উল্লেখ করে বলেন, তারেক রহমান কর্তৃক জাতির সামনে উপস্থাপিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা বৈষম্যহীন একটি সুখী ও সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ বিনির্মাণের মূল মন্ত্র হিসেবে কাজ করবে।
তিনি বলেন, জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে ছাত্র জনতার রক্তের বিনিময়ে ফ্যাসিবাদের অবসান ঘটলেও বিভিন্ন সাংবিধানিক ও রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানে এখনো ফ্যাসিবাদের দোসরররা বহাল তবিয়তে রয়ে গেছে। সরকারের বিভিন্ন সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান থেকে ফ্যাসিবাদের প্রেতাত্মাদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনতে পারলে চলমান অস্থিরতা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।
সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারকে অবিলম্বে প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করতে হবে। জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে জনগণের নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠা হলে চলমান অস্থিরতার অবসান হবে।
তিনি বলেন, আমি মেয়র হিসেবে নয়, জনগণের সেবক হিসেবে কাজ করতে এসেছি। চট্টগ্রাম মহানগরীকে ক্লিন সিটি ও গ্রীন সিটিতে পরিণত করার কাজে বিএনপি নেতাকর্মীদের সম্পৃক্ত করা হবে। মেয়র বলেন, চট্টগ্রাম মহানগরীতে জলাবদ্ধতা নিরসনের লক্ষে শীঘ্রই খাল কাটা কর্মসূচি চালু করা হবে।
কর্মী সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এডভোকেট আবদুস সাত্তার, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি ড. সিদ্দিক আহমেদ চৌধুরী, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আহমেদুল আলম রাসেল, মহানগর বিএনপি নেতা এস.এম আবুল ফয়েজ, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও তরুণ রাজনীতিক সাঈদ আল নোমান তূর্ষ, বিভাগীয় শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক শেখ নুরুল্লাহ বাহার, কেন্দ্রীয় শ্রমিক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক শ.ম. জামাল, জাহাঙ্গীর আলম, বিএনপি নেতা জসীম উদ্দিন জিয়া, মহসীন আলী চৌধুরী, তোফাজ্জল হোসেন, শাহীন আহমেদ কবির, এস.এম. ফরিদুল আলম, শায়েস্তা উল্লাহ চৌধুরী, মোহাম্মদ হাসান, খাজা আলাউদ্দীন, আশরাফ খাঁন, মোহাম্মদ শফিউল্লাহ, মোহাম্মদ শরীফ, ইবনুল হাসান, আলী হায়দার, সাইদুল আলম সওদাগর, এম এ বাতেন, এস.এম. আজাদ, দাদন দরি সরুজ, আনোয়ার হোসেন আরজু, জেলী চৌধুরী, মোহাম্মদ সেলিম, আমিনুল ইসলাম তৌহিদ, শেখ রাসেল, মহসীন কবির, শহীদুল ইসলাম ও চবি ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল নোমান।