দীর্ঘ ৫ বছর পর আজ শনিবার (১৬ অক্টোবর) রাঙ্গুনিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সম্মেলন হচ্ছে। এজন্য প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে ছাত্রলীগ নেতাদের মধ্যে। সম্মেলনকে ঘিরে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে চলছে জোর প্রচার-প্রচারণা। উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হতে ৫২ জন ছাত্রলীগ নেতাকর্মী ফরম জমা দিয়েছেন।
উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শিমুল গুপ্ত বলেন, ‘রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার এডভোকেট নুরুচ্ছাফা তালুকদার অডিটোরিয়ামে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রধান অতিথি থাকবেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপি। বিকাল ৩টায় সম্মেলন শুরু হবে। সম্মেলনে উদ্বোধক হিসেবে থাকবেন উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তানভির হোসেন চৌধুরী তপু, প্রধান বক্তা সাধারণ সম্পাদক মো. রেজাউল করিম। সম্মেলন বাস্তবায়নের যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। সম্মেলন প্রাঙ্গণে মুজিব কর্ণার স্থাপন করা হয়েছে এবং বাংলাদেশের ইতিহাসের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ছবি দিয়ে বিলবোর্ড স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া সম্মেলন সফল করতে ৭টি উপ-কমিটি গঠন করা হয়েছিল। সম্মেলনকে ঘিরে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা করা হয়। আশা করি এই সম্মেলনের মাধ্যমে মুজিব আদর্শের প্রকৃত মেধাবী ছাত্ররাই দায়িত্বে আসবেন।’
২০১৬ সালের পর দীর্ঘ ৫ বছরের ব্যবধানে অনুষ্ঠিত বহুল প্রত্যাশিত এই সম্মলেনকে কেন্দ্র করে চাঙ্গা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। কাক্সিখত পদ পেতে দৌঁড়ঝাঁপ শুরু করেছেন তারা। সভাপতি-সম্পাদক প্রার্থীরা প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। সম্মেলন স্থল থেকে শুরু করে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে প্রচারণায় ব্যানার, পেস্টুন, পোস্টারে চেয়ে গেছে। এছাড়াও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে প্রচারণায় সরব রয়েছেন নেতাকর্মীরা। নতুন সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক হতে সভাপতি পদে ২৩ জন এবং সাধারণ সম্পাদক পদে ২৯ জন ছাত্রলীগ নেতা নির্ধারিত তথ্য সংবলিত ফরম জমা দিয়েছেন। এরমধ্যে শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ, জাতীয় পরিচয় পত্র, বর্তমান অধ্যায়নরত প্রতিষ্ঠানের প্রত্যয়নপত্র নেওয়া হয়েছে। এসব বিষয় যাচাই বাছাই করে আওয়ামী পরিবারের প্রকৃত ছাত্রদের নেতৃত্বে আনা হবে বলে দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে। প্রার্থীদের প্রকৃত ছাত্রত্বের পাশাপাশি তাদের পারিবারিক রাজনৈতিক অবস্থান ও আওয়ামী লীগের সাথে সম্পৃক্ততার বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন ও উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতারা প্রার্থীকে চেনেন কি-না তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
এই বিষয়ে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এডভোকেট নুরুল আলম জানান, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপি যে আস্থা ও বিশ্বাস নিয়ে আমাদের দায়িত্ব দিয়েছিলেন তা পূরণে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। এবারও নতুন কমিটি গঠনকালে তাঁর সিদ্ধান্তের আলোকে সাংগঠনিক নিয়ম অনুসরণ করা হবে। এক্ষেত্রে প্রার্থীর প্রকৃত ছাত্রত্ব, পারিবারিকভাবে আওয়ামী লীগার এবং সংগঠনিক দক্ষতার বিষয়গুলো অগ্রাধিকার দেওয়া হবে বলে তিনি জানান।












