পর্তুগালের রাজধানী লিসবনে বাংলাদেশ কমিউনিটি অধ্যুষিত এলাকায় ক্রমবর্ধমান মুসলিম কমিউনিটির কথা বিবেচনায় বাংলাদেশী এক ঝাঁক তরুণের উদ্যোগে হযরত খাদিজা(রা:) জামে মসজিদের কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
পবিত্র রমজান মাসের প্রথম জুমার নামাজের মধ্য দিয়ে নতুন এই মসজিদের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। এই উপলক্ষে স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ কমিউনিটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের সম্মানে এক ইফতারের আয়োজন করা হয়।
ইফতার মাহফিলের শুরুতে মসজিদ পরিচালনা কমিটির পক্ষ থেকে মসজিদের বিভিন্ন কার্যক্রম তুলে ধরে অসমাপ্ত কাজের জন্য সকল ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের কাছে সহযোগিতা কামনা করা হয়।
এসময় তারা উল্লেখ করেন এই মসজিদটিতে প্রথমবারের মতো মহিলাদের আলাদা ইবাদতের ব্যবস্থা করা হবে।
ইফতার আয়োজনে পর্তুগালে বসবাসরত বাংলাদেশ কমিউনিটির সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক, ব্যবসায়ী ও সাংবাদিকদের বিপুল সমাগম হয়।
মসজিদ বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য মোহাম্মদ আতিকুর রহমানের সভাপতিত্বে গোলাম ইয়াহিয়া রুপনের পরিচালনায় ইফতার মাহফিলে বক্তব্য রাখেন বায়তুল মোকাররম জামে মসজিদের সভাপতি রানা তাসলিম উদ্দিন, সহ-সভাপতি জহিরুল আলম জসিম, মাতৃমনিজ জামে মসজিদের সভাপতি মোশাররফ হোসেন, সহ-সভাপতি সামসুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক সাজিদুল আলম সাজিদ, পর্তুগাল বাংলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক রাসেল আহম্মেদ।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব দেলোয়ার হোসেন, বিশ্ব স্বজন ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ফজলুল হক এনাম, বরিশাল কমিউনিটি পর্তুগালের সভাপতি শাহিন সাঈদ, বায়তুল মোকাররম জামে মসজিদের সাধারন সম্পাদক সুয়েব মিয়া, ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম, কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব আব্দুল ওয়াহিদ চৌধরী পারভেজ, জাকির হোসেন, রুবেল আহমেদ, আবু তাহের সুমনসহ পর্তুগালে বসবাসরত বাংলাদেশ কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ।
ইফতার মাহফিলে দোয়া পরিচালনা করেন হযরত খাদিজা(রা:) জামে মসজিদের ইমাম ফুজায়েল আহমদ ফয়েজ ।
উল্লেখ্য, লিসবনে বাংলাদেশ কমিউনিটির উদ্যোগে প্রায় দুই যুগ পূর্বে বাংলাদেশ ইসলামিক সেন্টার নামে প্রথম মসজিদ স্থাপন কর হয়। পরবর্তীতে মাতৃমনিজ জামে মসজিদ নামে আরো একটি মসজিদ স্থাপন করা হয় যেখানে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্য সহ বিভিন্ন দেশের মুসলমান নামাজ আদায় করে।
তাছাড়া লিসবনের পাশ্ববর্তী শহর আমাদোরা, কাসকাইস, বারেইরো, ভিলা নোভা ডি মিলফনন্তেস এবং বন্দর নগরী ফোর্তো সহ আরো বেশ কিছু শহরে বাংলাদেশীদের উদ্যোগে মসজিদ স্থাপন করা হয়েছে।