শিক্ষকের কাছে শুনেছি, উদ্ভিদ কার্বন-ডাই-অক্সাইড গ্রহণ করে এবং অক্সিজেন ত্যাগ করে। আর প্রাণি অক্সিজেন গ্রহণ করে এবং কার্বন-ডাই-অক্সাইড ত্যাগ করে। এভাবে পরিবেশে অক্সিজেন ও কার্বন-ডাই-অক্সাইডের ভারসাম্য চলতে থাকে। কয়েকদিন আগে শুনলাম, বর্তমানে পৃথিবীর জনসংখ্যা ৮০০ কোটি পূর্ণ হয়েছে।
অর্থাৎ যে হারে জনসংখ্যা বাড়ছে সে হারে মানুষের অন্যান্য চাহিদার সঙ্গে বাসস্থানও প্রয়োজন হচ্ছে। ফলে বনভূমি উজাড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে উদ্ভিদেরও সর্বনাশ হচ্ছে। এতে বায়ুমণ্ডলে দ্রুত কার্বন ডাই অক্সাইড বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এছাড়াও শিল্পকারখানার বর্জ্য ও বিষাক্ত কালো ধোঁয়া, জমিতে কীটনাশক ব্যবহার, মলমূত্র, আবর্জনা ত্যাগের ফলে মারাত্মকভাবে মাটি ও পানি দূষিত হচ্ছে। সম্প্রতি শোনা যাচ্ছে, আমাদের দেশের ১/৩ ভাগ নাকি সমুদ্রের পানিতে বিলীন হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
তাহলে বোঝা যাচ্ছে, সামনে সমূহ বিপদ। সুতরাং আসুন, বায়ু-মাটি-পানি দূষণসহ বিভিন্ন দূষণ রোধে সচেতন হই, কর্তন না করে উদ্ভিদের যত্ন নিয়ে পরিবেশ বাঁচাই এবং নিজেরা বাঁচি।
ফারজানা আক্তার মীম
শিক্ষার্থী, ৭ম শ্রেণি, আগ্রাবাদ বালিকা বিদ্যালয়, চট্টগ্রাম।