ভাস্কো দা গামা : বিশ্ববিখ্যাত নাবিক

| বৃহস্পতিবার , ২৪ নভেম্বর, ২০২২ at ৯:৫৮ পূর্বাহ্ণ

ভাস্কো দা গামা। পর্তুগিজ নাবিক, পঞ্চদশ শতাব্দীতে তিনি জাহাজযোগে সমুদ্রপথে ভারত আসেন। ইতিহাসে তিনি প্রথম ইউরোপিয়ান নাগরিক হিসেবে সমাদৃত হয়েছেন যিনি সম্পূর্ণভাবে সাগর পথ পাড়ি দিয়ে ভারতে এসে উপস্থিত হন। ভাস্কো দা গামা ১৪৬০ কিংবা ১৪৬৯ সালে পর্তুগালের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলে সিনেস নামক একটি জায়গায় জন্মগ্রহণ করেন। ১৪৯৭ সালের ৮ জুলাই ৪টি জাহাজ এবং ১৭০ জনের এক নাবিকদল নিয়ে ভাস্কো দা গামা লিসবন থেকে যাত্রা শুরু করেন।

আফ্রিকা থেকে ভারত এবং আবার ফিরে আসার দূরত্ব বিষুবরেখার চারপাশের দূরত্ব থেকেও বেশি ছিল। নাবিক হিসেবে তাঁর সাথে ছিলেন পর্তুগালের সবচেয়ে অভিজ্ঞ পেরো দি আলেনকুয়ের, পেড্‌রো ইস্কোবার, জোয়াও দি কইম্ব্রা এবং আফন্সো গনকালেভস। ১৪৯৭ সালের ৮ জুলাই তারা লিসবনের উদ্দেশ্যে সমুদ্রযাত্রা শুরু করে। সিয়েরা লিয়ন উপকূলে পৌঁছার পর দা গামা দলবল সমেত মুক্ত সাগরের দক্ষিণের পথ ধরে বিষুবরেখা অতিক্রম করে বার্তলমিউ ডায়াস দ্বারা ১৪৮৭ সালে আবিষ্কৃত দক্ষিণ আটলান্টিকের পশ্চিমমুখী পথ সন্ধান করেন। এতে তিনি সফল হন এবং ১৪৯৭ সালের ৪ নভেম্বর আফ্রিকা উপকূলের তটরেখায় আসতে সক্ষম হন।

তিন মাসের অধিক সময় ধরে যাত্রার পর তারা ১০,০০০ কিলোমিটার পথ ভ্রমণ করেন যা ছিল সেইসময়কার দীর্ঘতম সামুদ্রিক ভ্রমণ। ১৬ ডিসেম্বর তারা ‘বিশাল মৎস্য নদী’ পার হয়ে অজানা সমুদ্রের দিকে যাত্রা করেন। ভাস্কো দা গামা ১৪৯৮ সালের ২ মার্চ থেকে ২৯ মার্চ পর্যন্ত মোজাম্বিক দ্বীপের নিকটে সময় অতিবাহিত করেন। ১৪৯৮ সালের ৭ এপ্রিল থেকে ১৩ এপ্রিল এর মধ্যে মোম্বাসা বন্দরের পরিচয় পায়। ভাস্কো দা গামা উত্তরে যাত্রা অব্যাহত রেখে ১৪৯৮ সালের ১৪ এপ্রিল মালিন্দী বন্দরে এসে উপস্থিত হন। ১৪৯৮ সালের ২০ মে ভাস্কো দা গামা নৌবহরসহ কালিকটের নিকটবর্তী কাপ্পাডুতে এসে উপস্থিত হন। ১৪৯৮ সালের ২৯ আগস্ট কালিকট বন্দর থেকে প্রত্যাবর্তন যাত্রা করেন।

ভাস্কো দা গামার নৌবহর ১৪৯৯ সালের ৭ জানুয়ারি মালিন্দী এসে উপস্থিত হন এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের সম্মুখীন হন। ১৪৯৯ সালের ২৯ আগস্টে লিসবনে এসে উপস্থিত হন সেপ্টেম্বরের শুরুর দিকে (৮ বা ১৮ তারিখে)। দা গামাকে দেশের মাটিতে বীরের মতো পা রাখেন। সম্মানের সাথে, শোভাযাত্রা এবং রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বরণ করা হয় তাঁদের। ১৯৫৪ সালের ২৪ ডিসেম্বর ভারতের কোচিতে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআমাদের ছেলে-মেয়েরা একদিন বিশ্বকাপ খেলবে : প্রধানমন্ত্রী
পরবর্তী নিবন্ধপরিবেশ বাঁচাই, নিজেরা বাঁচি