ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে পরপর দুই টেস্টে হতাশাজনক হার হজম করতে পারছেন না বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। দলের এমন অবস্থায় সবার কাছে জবাবদিহি চাওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিসিবি প্রধান। শুধু তাই নয়, অতি দ্রুত এ অবস্থার সমাধান করা হবে বলেও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। বাংলাদেশের খেলায় ক্ষুব্ধ বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসান। খর্ব শক্তির ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশড হওয়াটা একেবারেই মানতে পারছেন না তিনি। পরিবর্তনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেছেন, এভাবে চলতে দেওয়া হবে না। ওয়ানডে সিরিজে জেতার পর টেস্টে উল্টো ফলের জন্য দলের সবার থেকে জবাব চাওয়ার কথা বলেন বিসিবি প্রধান। ‘খেলোয়াড়দের মনোভাব বলেন, কৌশল বলেন আমার কাছে মনে হয়…যে জিনিসটা সবার মনে হওয়া উচিত, সেটা হচ্ছে না। অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান, আমাদের বাংলাদেশের টপ যারা, নামকরা, বিশ্বমানের তাদেরকে এখন বলে দিতে হবে টেস্টে কীভাবে ব্যাটিং করতে হবে? এগুলো তো বলে দেওয়ার কথা না।’ এই পরাজয়ে আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে পয়েন্টের মুখ আর দেখা হলো না বাংলাদেশের। অথচ পুরো ১২০ পয়েন্টের আশায় সিরিজ শুরু করেছিল স্বাগতিকরা। শূন্য হাতে সিরিজ শেষ করার পর নাজমুল হাসান বললেন, পরিবর্তন আসবে, সমাধানও হবে। ‘সমাধান খুবই সহজ, সমাধান হবে। এইভাবে চলতে দেওয়া যায় না। আমি আফগানিস্তানের পরে বেশি কিছু বলতে চাইনি। কিন্তু আজকে আপনাদেরকে আমি বলছি, এর পরিবর্তন করতে হবে, অবশ্যই পরিবর্তন করতে হবে। যেভাবেই হোক…।’ ‘সমস্যা সব জায়গায় আছে, এটাতো স্বীকারই করে নিচ্ছি। দুইটা টেস্ট সিরিজ দেখে বুঝেছি, সমস্যা তো আছেই। একটা দেখে কিছু বলতে পারিনি তেমন। এবার তো আপনাদেরকে বললাম।’ দুই টেস্টে একজন করে বিশেষজ্ঞ পেসার খেলিয়েছে বাংলাদেশ। অথচ স্কোয়াডে আছে পাঁচ জন পেসার। তাদের না খেলানোর কোনো যুক্তি দেখছেন না বিসিবি প্রধান। ‘আমাদের সামগ্রিক যে পরিকল্পনা একটা ব্যাপারে আমাদের কোনো সন্দেহ নাই যে, আমাদের বোলারদের মধ্যে স্পিনারদের চেয়ে পেসাররা ভালো। সাকিবকে বাদ দেন। এ ছাড়া স্পিনার কয়টা আমাদের? দুই তিন জন, কিন্তু আমাদের অনেক ভালো পেসার আছে।’ ‘এমনেও তো পাঁচটা পেসার আছে। কেন খেলছে না? চট্টগ্রামে খেলার কথা ছিল খেলে নাই। এখানেও অন্তত দুইজন খেলবে আমাকে নিশ্চিত করেছিল। কিন্তু খেলে নাই, কেন? আমাকে তো বলা হচ্ছে খেলবে। পরে তো দেখি নামছে না। শুধু কোচ, অধিনায়ক না সবার কাছেই জবাব চাইব।’