পটিয়ায় রাস্তার পাশে ঝোঁপঝাড় থেকে এক কিশোর অটোরিকশা চালককের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তাকে ছুরিকাঘাত করে খুন করা হয়েছে। তার নাম মো. মেহেদী হাসান (১৫)। সে পটিয়া পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের ব্রাহ্মণপাড়ায় ভাড়া বাসায় থাকত। তার পিতার নাম আকবর আলী। গতকাল শনিবার সকালে উপজেলার ছনহরা ইউনিয়নের ধাউরডেঙ্গা এলাকা থেকে পুলিশ রাস্তার পাশে ঝোপ থেকে এ অটোরিকশা চালকের মরদেহ উদ্ধার করে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য তার লাশটি মর্গে প্রেরণ করা হয়। মেহেদীর শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
জানা গেছে, অটোরিকশা চালক মেহেদীর পরিবার দীর্ঘ ২০/২৫ বছর ধরে পটিয়া পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডে পরিবার নিয়ে ভাড়া বাসায় বসবাস করে আসছিল। মেহেদীর জন্মের পর পিতা আকবর আলী তাদের ছেড়ে নোয়াখালী জেলায় চলে যান। মেহেদীর দুই ভাই ও তার মা পটিয়ায় ভাড়া বাসায় থাকেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় রিকশা নিয়ে বের হলেও আর ঘরে ফিরেনি। উপজেলার ধাউরডেঙ্গা এলাকায় ঝোঁপে একটি লাশ দেখে স্থানীয় লোকজন পুলিশে খবর দিলে পটিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশটি উদ্ধার করে। মেহেদীর ভাই সাজ্জাদ হোসেনের ধারণা রিকশা ছিনতাইকারীরা তার ভাইকে খুন করেছে।
পটিয়া থানার ওসি রেজাউল করিম মজুমদার জানিয়েছেন, অটোরিকশা চালককে ছুরিকাঘাত খুন করা হয়েছে। লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে কি কারণে খুন হয়েছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।