নৈতিকতা ও মানসিক বিকাশে পরিবার

সুব্রত কুমার নাথ | শনিবার , ১৬ অক্টোবর, ২০২১ at ১০:০২ পূর্বাহ্ণ

সন্তানদের প্রথম শিক্ষাস্থান তাদের পরিবার। মা বাবাই সন্তানদের শ্রেষ্ঠ আদর্শ। এ. পি. জে আব্দুল কালাম বলেছেন, মা শিক্ষিত হোক বা না হোক মা-ই হলো পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ শিক্ষক। তাই বলি, শিশু শিক্ষার প্রথম বুনিয়াদ পরিবার। ছোটদের স্নেহ করা, বিপন্নদের সাহায্য করা ইত্যাদি উপদেশমূলক শিক্ষা পরিবারের বড়রা সন্তানদের গল্পের মধ্যে দিয়ে শেখাতে পারে। আদর্শ মা বাবা সন্তানের অন্তরের পিতা বা প্রতিভাকে সুকৌশলে উন্মোচিত করতে পারে। পরিবারের উপযুক্ত পরিবেশ ও পর্যাপ্ত সুযোগ পেলে শিশুরা সফলতার শিখরে পৌঁছানো সম্ভব। যাবতীয় প্রাণী একবার জন্ম নিলেও মানুষ দুইবার জন্মগ্রহণ করে। একবার মাতৃজঠর থেকে দেহ ধারণ করে আরেকবার শিক্ষার মাধ্যমে মনকে পরিপক্ব করে। শিশুদের পরিপক্বতার প্রথম কাজ শুরু হয় পরিবারেই। শিক্ষার আসল উদ্দেশ্য মূল্যবোধ সৃষ্টি। মূলত ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষায় শিশুদের এই মূল্যবোধ সৃষ্টি করতে পারে। শেখ সাদী বলেছেন, শৈশবে যে শিষ্টাচার শেখে না, পরিণত বয়সেও তার কাছে ভালো কিছু আশা করা যায় না। সে জন্য বলতে হয়, শিষ্টাচার অর্জনের প্রধান আলয় পরিবার। শিশুদের শিক্ষার আরেকটি ক্ষেত্র হলো প্রকৃতি।
মা বাবারা অবসরে সন্তানদের নিয়ে সবুজ, নদী, আকাশ দেখতে পারে। কখনো কখনো পাহাড় বা সমুদ্রের সাথে মিতালি করতে পারে। এতে সন্তানদের মধ্যে উদারতা, সহনশীলতা ও পরোপকারিতার মতো মহৎ গুণাবলি প্রকৃতির নানা অনুষঙ্গ হতে শিশুরা শিক্ষা লাভ করতে পারে।
পারিবারিক বন্ধনই এই অসামান্য ভূমিকা রাখতে পারে। সর্বোপরি এক কথায় বলা যায়, পরিবারই সন্তানদের নৈতিকতাবোধ সৃষ্টি, মানসিক বিকাশ ও জ্ঞান অর্জনের প্রধান শিক্ষালয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধউগ্রবাদিতা নয়, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি চাই
পরবর্তী নিবন্ধরাখবো দেশের মান