আর্জেন্টিনা আর ব্রাজিল ম্যাচ মানে উত্তেজনা, উম্মাদনা আর নিদারুন চাপ। আর এই উত্তেজনা সামাল দেওয়াটাও বেশ কঠিন। যেমনটি সামাল দিতে পারেনি গতকাল। ম্যাচ শুরুর আগেই গ্যালারীতে তুমুল মারামারি। গ্যালারি ঠান্ডা হলে প্রায় আধ ঘণ্টা পর মাঠে গড়াল লড়াই। ঘটনাবহুল ম্যাচটি ১–০ গোলে জিতল আর্জেন্টিনা। এই জয়ের ফলে লিওনেল স্কালোনির দল ছয় ম্যাচে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষ স্থান মজবুত করল। আর ৭ পয়েন্ট নিয়ে ষষ্ঠ স্থানে আছে ব্রাজিল। ব্রাজিলের জাতীয় সঙ্গীত চলার সময় গ্যালারিতে দুই দলের সমর্থকরা সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে। পুলিশ দ্রুত ছুটে গেলেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছিল না। পুলিশের সঙ্গেও লেগে যায় দর্শকদের। পরিস্থিতি চলে যায় নিয়ন্ত্রণের বাইরে। উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে বেশ খানিকটা সময় অপেক্ষা করে সতীর্থদের নিয়ে মাঠ ছাড়েন লিওনেল মেসি। আধ ঘণ্টা পর দল নিয়ে মাঠে ফিরেন আর্জেন্টিনা অধিনায়ক। শুরু হয় ম্যাচ। তবে মাঠে শরীরি ফুটবল চলে বেশি। প্রথমার্ধে ফাউল হয়েছে ২২ টি। যার ১৬টি করে ব্রাজিল।
প্রথমার্ধে দুদল আক্রমন আর পাল্টা আক্রমন করে খেলতে থাকে। ৩৩ মিনিটে এগিয়ে যেতে পারতো ব্রাজিল। বঙের ঠিক সামনে ব্রাজিলের এক খেলোয়াড় বল পাওয়ার আগেই দ্রুত ছুটে এসে হেডে ক্লিয়ার করেন এমিলিয়ানো মার্তিনেস। ৪৩ মিনিটে কর্নারের পর বঙের ঠিক বাইরে বল পেয়ে গাব্রিয়েল মার্তিনেল্লির বুলেট গতির ভলি এক ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে কর্নার হয়ে যায়।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে আক্রমন বাড়ায় ব্রাজিল। ৫৭ মিনিটে দারুণ সেভে আর্জেন্টিনার ত্রাতা মার্তিনেস। দুই ডিফেন্ডারের ফাঁক গলে বল নিয়ে বেরিয়ে যাওয়া জেসুস ঠিকঠাক শট নিতে পারেননি। বল চলে যায় ফাঁকায় থাকা মার্তিনেল্লির পায়ে। তার শট ঝাঁপিয়ে আটকান গোলরক্ষক। ৬৩ মিনিটে মারাকানার গ্যালারি স্তব্ধ করে দিয়ে এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা। জিওভান্নি লো সেলসোর কর্নারে অনেকটা লাফিয়ে করা হেডে জাল খুঁজে নেন ওতামেন্দি। ৮১ মিনিটে আরেক ধাক্কায় ব্রাজিল কোণঠাসা হয়ে পড়ে আরও। রদ্রিগো দে পলের সঙ্গে বলের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার লড়াই চলছিল ওয়েলিংতনের। সেই লড়াইয়ে জিততে না পেরে প্রতিপক্ষকে ধাক্কা মেরে লাল কার্ড দেখেন তিনি। ব্রাজিল পরিণত হয় দশ জনের দলে। সেলেসাও সমর্থকদের অনেককে মাঠ ছাড়তে দেখা যায় তখন। শেষ পর্যন্ত সবাইকে হতাশ হয়ে ফিরতে হয় বাড়ি। কারন ১–০ গোলে যে ব্রাজিল হেরেছে নিজেদের মাঠে।