প্রায় আমার শরীরে জ্বর থাকে। একদিন বেশ ঘটা করেই জ্বর আসলো। এমন ভাবে জেকে বসলো যাওয়ার নাম নেই। ঠোঁটের চারপাশে দানার মতো উঠলো নাকের ভিতরটাও বাদ গেলো না। নাকে চুলকানি শুরু হয়ে হলো। কিন্তু নাক ফুলের জন্য নাক চুলকাতে পারছিলাম না। তখন খুব কষ্ট পাচ্ছিলাম। রাতে বিছানায় বসে আছি। ঘুম আসছিলো না। খোকন জানতে চাইলো বসে আছি কেন? কষ্টের কথাটা তাকে বললাম। আরো বললাম নাক ফুলটা খুলে দাও খুব ব্যথা পাচ্ছি। সে আমার নাক ফুল কোন ভাবেই খুলতে নারাজ। কারণ জানতে চাইলাম। উত্তর নেই। তারপরও আমি অনেক রিকুয়েস্ট করলাম অনুমতি নিতে চাইলাম নাক ফুল খুলে নাক চুলকানোর জন্য। অনুমতি পেলাম না। অতঃপর জিজ্ঞেস করলাম কি ব্যাপার আমার নাকফুলে কি তোমার আয়ু জড়ানো। খোকনের মুখে হ্যাঁ সূচক হাসি। পরে বললাম তোমার আগে যদি আমি মরে যাই তখন কি করবে।
সে কোন কথা না বলে দু’হাত দিয়ে আমায় জড়িয়ে ধরলো। অতঃপর আমি নাকের ভেতরে টিসু পেঁচিয়ে দিয়ে রাখলাম। কয়েক দিন এভাবেই চললো। একসময় সুস্থ হয়ে এই ঘটনা নিয়ে দুজনে বেশ এনজয় করলাম। কয়েকদিন পর সে চিরতরে আমায় ছেড়ে নিয়তির কাছে হার মেনে চলে গেলো। তবে আমার নাকফুলে মিশে আছে তার অস্তিত্বহীন শরীর আমার অস্তিত্বে মিশে।
প্রিয় বন্ধু আমার, যতো দূরে যাও তবু জেনে রেখো আমার শরীর মনন ও অস্তিত্বে তুমি আছো থাকবে অনাদিকাল। একদিন আমিও থাকবো না। আমাদের ভালোবাসা মহাকালের বুক জুড়ে ঘুরে বেড়াবে। আর কোন একদিন আমরা জাতিস্মর হয়ে ফিরে আসবো আমাদের দুজনের নির্মিত পৃথিবীর কোন এক প্রান্তে।