বই উৎসব না করে বিকল্প উপায়ে শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই পৌঁছে দেয়ায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রশংসিত কাজ করেছেন। এজন্য মন্ত্রণালয়কে অভিনন্দন জানাই। হাতে নানা রঙের বই পেয়ে আনন্দে মাতোয়ারা কোটি কোটি শিশু কিশোর। ফুটেছে তাদের চোখে মুখে অকৃত্রিম হাসি। নতুন বইয়ের ঘ্রাণে সুবাসিত হয়েছে তাদের কোমল মন। এক সময় পকেটের টাকা খরচ করেও সময়মতো পাঠ্যবই কেনা অসম্ভব হয়ে দাঁড়াতো। অসৎ বই ব্যবসায়ীরা মুনাফা অর্জনের জন্য কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের হয়রানির মুখে ঠেলে দিতেন। পাঠ্য বইয়ের সংগে নোট বই কিনতেও বাধ্য করা হতো। বিনামূল্যে পাঠ্য বই বিতরণ সে অবস্থার অবসান ঘটিয়েছে। এবং সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী ছেলে মেয়েদের পড়াশুনার ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা রেখেছে। বিনামূল্যে পাঠ্যবই বিতরণ সরকারের প্রশংসনীয় উদ্যোগ। বিনামূল্যে বই বিতরণের ফলে বেশ কয়েক বছর ধরে ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের সংখ্যা আশাব্যঞ্জকভাবে কমে এসেছে। যা আমাদের দেশের শিক্ষার গুণগত মান বৃদ্ধি ও দেশের অগ্রগতিতে ব্যাপক ভূমিকা রাখতে সক্ষম হয়েছে। প্রশংসনীয় এই উদ্যোগটি আগামী বছরগুলোতেও অব্যাহত থাকবে বলে প্রত্যাশা করি।
এম. এ. গফুর, বলুয়ার দীঘির দক্ষিণ-পশ্চিম পাড়, কোরবানীগঞ্জ, চট্টগ্রাম।