ধর্মীয় ইস্যুকে সামনে এনে সহনশীলতা বিনষ্টের উসকানিমূলক প্রচার ছড়ানোর দায়ে ২০ থেকে ২৫ জনকে নজরদারিতে রেখেছে সিআইডি। সিআইডি ছাড়াও এ কাজে পুলিশের অন্য সংস্থাগুলোও খোঁজখবর নিচ্ছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলোর সঙ্গে কথা বলে এই তথ্য জানা গেছে। ধর্মীয় কোনো বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে উত্তেজনা প্রকাশ না করার অনুরোধ জানিয়ে গত ২৭ নভেম্বর পুলিশ সদর দপ্তরের মুখপাত্র এবং সহকারী মহাপরিদর্শক (মিডিয়া) মো. সোহেল রানা এক ভিডিও বার্তায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীদের প্রতিক্রিয়া জানানোর ক্ষেত্রে সচেতন হতে অনুরোধ জানিয়েছেন। তিনি বলেন, প্রয়োজনে ৯৯৯-এ ফোন করে তথ্যের সত্যতা যাচাই করে নিতে পারেন বা স্থানীয় থানায় যোগাযোগ করতে পারেন। এছাড়া ধর্মীয় বিষয়ে সঠিক তথ্য দেওয়ার মতো আলেম-ওলামা রয়েছেন। কারও সঙ্গে পরামর্শ না করে প্রতিক্রিয়া দেখাবেন না। লাইক, কমেন্ট ও শেয়ার করবেন না।
সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টারের বিশেষ পুলিশ সুপার রেজাউল মাসুদ আজাদীকে বলেন, ভাস্কর্য ইস্যুতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উত্তপ্ত বিতর্ক হচ্ছে। যারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সোচ্চার, তাদের সবাই সন্দেহভাজন অপরাধী নন। তাদের সিংহভাগই আবেগের স্রোতে গা ভাসিয়েছেন। এই আবেগপ্রবণ মানুষদের কারা ব্যবহার করছেন, সেটাই সাইবার পুলিশ নজরদারি করছে এবং নিয়মিত ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করছে। তালিকাটা খুব দীর্ঘ নয়, ২০ থেকে ২৫ জন। তাদের প্রত্যেকের সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, ধর্মীয় ইস্যুতে কেউ উসকানি দিচ্ছে কিনা তা সার্বক্ষণিক নজরদারি করছে সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার। সিআইডি ছাড়াও পুলিশের বিশেষ শাখা, কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম, অ্যান্টি টেররিজম ইউনিট নজরদারির কাজ করছে। ধর্মীয় ইস্যুতে উত্তেজনা ছড়ায়, এমন কিছুর প্রচার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে নিষিদ্ধ। যারা ফেসবুকে পোস্ট দিচ্ছেন, তারা আইন ভঙ্গ করছেন কিনা পুলিশ খতিয়ে দেখছে।