শিক্ষার্থীদের করোনার টিকাদানে গতি বাড়াতে কমিউনিটি সেন্টারে টিকা কেন্দ্র করার পরিকল্পনার কথা আগেই জানিয়েছিলেন চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী। এর প্রেক্ষিতে নগরের তিনটি কমিউনিটি সেন্টারে ১২-১৭ বছরের শিক্ষার্থীদের টিকাদান আজ সোমবার থেকে শুরু হচ্ছে। টিকাদান কেন্দ্র স্থাপন করা নগরের তিনটি কমিউনিটি সেন্টারের
মধ্যে রয়েছে আসকার দিঘির রীমা কনভেনশন সেন্টার, সিরাজউদ্দৌল্লা রোডের হল সেভেন-ইলাভেন ও আগ্রাবাদ এঙেস রোডের আব্দুল্লাহ কমিউনিটি সেন্টার। এই তিন কমিউনিটি সেন্টারে প্রাথমিকভাবে ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়া হবে।
শিক্ষার্থীদের টিকাদান কার্যক্রম সমন্বয়ের দায়িত্বে রয়েছেন চট্টগ্রামের ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ আসিফ খান। তিনি আজাদীকে বলেন, প্রতিদিন ২৫ হাজার শিক্ষার্থীকে টিকাদানের টার্গেট রয়েছে আমাদের। প্রাথমিকভাবে ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত আমরা সিডিউল রেখেছি। প্রয়োজন হলে এরপরও টিকা দেওয়া হবে। মহানগরের ১২-১৭ বছরের শিক্ষার্থীদেরই এসব কমিউনিটি সেন্টারে টিকা দেয়া হবে জানিয়ে তিনি বলেন, শনিবার থেকে উপজেলা পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের টিকাদান শুরু হয়েছে। মহানগরে যেহেতু শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি, সেহেতু টিকাদানের গতি বাড়াতে কমিউনিটি সেন্টারে টিকাদান কেন্দ্র করা হয়েছে। ১৫ জানুয়ারির মধ্যে সব শিক্ষার্থীকে টিকার আওতায় আনার নির্দেশনা রয়েছে। তাই এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, শুরুতে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের টিকা প্রয়োগের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয় চট্টগ্রামে। গত ১৬ নভেম্বর থেকে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের এ টিকাদান শুরু হয়েছে। পরবর্তীতে ১২-১৭ বছরের শিক্ষার্থীদের করোনার টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয় ৯ ডিসেম্বর। শুরুতে কেবল মহানগরের শিক্ষার্থীদের এ টিকা দেয়া হয়। তবে মহানগরের পর গত শনিবার থেকে চট্টগ্রামের উপজেলা পর্যায়েও শিক্ষার্থীদের করোনার টিকাদান শুরু হয়েছে। প্রথম দিন শনিবার চট্টগ্রামের ৬টি উপজেলায় শিক্ষার্থীদের টিকাদান শুরু হয় বলে জানান সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী। ৬ উপজেলা হলো সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, পটিয়া, কর্ণফুলী, মীরসরাই ও সীতাকুণ্ড। অন্যান্য উপজেলায় গতকাল থেকে এ কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
সিভিল সার্জন কার্যালয় ও জেলা শিক্ষা অফিসারের কার্যালয় বলছে, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা শিক্ষা অফিসার ও উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সমন্বয়ের মাধ্যমে উপজেলা পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের এ টিকাদান কার্যক্রম পরিচালনা করবেন। মহানগরের মতো উপজেলা পর্যায়েও শিক্ষার্থীদের ফাইজারের টিকা প্রয়োগ করা হবে।











