এবার নিজের করা মামলায় গ্রেপ্তার বাবুল আক্তার

আজাদী প্রতিবেদন | সোমবার , ১০ জানুয়ারি, ২০২২ at ৬:৫৩ পূর্বাহ্ণ

স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু খুনে শ্বশুরের মামলার পর সাবেক এসপি বাবুল আক্তার এবার নিজের করা মামলাতেও গ্রেপ্তার হয়েছেন। পিবিআইয়ের গ্রেপ্তার চেয়ে করা একটি আবেদন বিষয়ে শুনানির পর তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এর আগে গতকাল দুপুরে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত মহানগর হাকিম মোহাম্মদ আবদুল হালিম পিবিআইয়ের আবেদনটি মঞ্জুর করেন। আদালতের প্রসিকিউশন শাখার সূত্র আজাদীকে বিষয়টি নিশ্চিত করে।
সূত্র জানায়, বাবুল আক্তারকে তার নিজের করা মামলায় গ্রেপ্তার চেয়ে গত সপ্তাহে আবেদন করেন পিবিআই পরিদর্শক আবু জাফর মোহাম্মদ ওমর ফারুক। সম্প্রতি গুরুত্বপূর্ণ এ মামলার তদন্তের দায়িত্ব পান তিনি।
বাবুল আক্তারের আইনজীবী শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী আজাদীকে বলেন, বাবুলকে নিজের করা মামলায় গ্রেপ্তার চেয়ে করা আবেদন বিষয়ে আমরা আপত্তি জানিয়েছি। কিন্তু আদালত আমাদের আপত্তি গ্রহণ করেননি। পিবিআইয়ের আবেদন মঞ্জুর করে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দিয়েছেন। একই ঘটনায় দুটি মামলা হয়েছে। আবার
দুটি মামলাতেই গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আমাদের কাছে এসব বিধিসম্মত মনে হয়নি। আমরা শীঘ্রই উচ্চ আদালতে যাব। এদিকে শুনানির দিন ধার্য থাকায় কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে ফেনী কারাগার হয়ে চট্টগ্রাম কারাগার থেকে বাবুল আক্তারকে আদালত কক্ষে হাজির করা হয়।
২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে নগরীর পাঁচলাইশ থানাধীন ওআর নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে গিয়ে গুলি ও ছুরিকাঘাতে খুন হন মিতু। এই ঘটনায় তখন বাবুল আক্তার বাদী হয়ে পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাত পরিচয় তিনজনকে আসামি করে একটি মামলা করেন। সে সময় বাবুল আক্তার দাবি করেন, জঙ্গিরাই তার স্ত্রীকে গুলি করে হত্যা করেছে। উক্ত মামলা ডিবি পুলিশ হয়ে তদন্তের দায়িত্ব পায় পিবিআই। তদন্ত শেষে সংস্থাটি গত বছরের ১২ মে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেয়। যেখানে বলা হয়, বাবুল আক্তারই স্ত্রী মিতুকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেন। এদিকে পিবিআইয়ের ওই চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে একই বছরের ১৫ অক্টোবর আদালতে নারাজি পিটিশন দাখিল করেন বাবুল আক্তার। গত ৩ নভেম্বর শুনানি অনুষ্ঠিত হলে চূড়ান্ত প্রতিবেদনের সাথে নারাজি পিটিশনটিও খারিজ করে দেন ম্যাজিস্ট্রেট এবং মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দেন। প্রসঙ্গত, বাবুলের মামলায় পিবিআই যেদিন আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে সেদিন পাঁচলাইশ থানায় মিতু খুনের ঘটনায় বাবুল আক্তারসহ ৮ জনকে আসামি করে বাবুলের শ্বশুর মিতুর বাবা মোশারফ হোসেন নতুন একটি মামলা করেন। শ্বশুরের করা সে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, বাবুল আক্তারই পরিকল্পিতভাবে স্ত্রী মিতুকে লোক লাগিয়ে হত্যা করে। একপর্যায়ে বাবুল আক্তারকে শ্বশুরের করা এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। আগের দিন অর্থাৎ গত বছরের ১১ মে ঢাকা থেকে ডেকে নিয়ে তাকে হেফাজতে নেয় পিবিআই। সে থেকে এখন পর্যন্ত তিনি এ মামলায় ফেনী কারাগারে আছেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধউখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আবার অগ্নিকাণ্ড
পরবর্তী নিবন্ধনগরের তিন কমিউনিটি সেন্টারে শিক্ষার্থীদের টিকাদান আজ থেকে