ইয়াবা, গাঁজা, ফেন্সিডিল, আইসসহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্য পাচারে মামলা দায়ের হচ্ছে প্রায় প্রতিদিন, আটক হচ্ছে পাচারকারীরা। তবুও নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না মাদকের বিস্তার।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম মেট্রো কার্যালয়ের ২০২২ সালে দেওয়া এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে নগরীতে গত এক বছরে মাদক সংক্রান্ত মামলা ও আসামির সংখ্যা বেড়েছে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর ছাড়াও পুলিশ, র্যাব, এপিবিএন ও কোস্টগার্ড মাদক নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম মেট্রো কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সোমেন মন্ডল এ প্রসঙ্গে বলেন, আমাদের গোয়েন্দা কার্যক্রম জোরদার ও তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করার মাধ্যমে মাদক পাচারের রুট ও স্পট চিহ্নিত করা হচ্ছে। মাদক পাচারকারী, বিনিয়োগকারী, ব্যবসায়ী, মজুদদার, বহনকারীসহ গডফাদারদের বিরুদ্ধে অভিযান চলমান রয়েছে।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম মেট্রো কার্যালয়ের প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম মেট্রো কার্যালয়ে মামলা হয়েছিল ১ হাজার ৫৯টি। ২০২২ সালে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ১২৬টি। ২০২১ সালে আসামি গ্রেপ্তার করা হয়েছিল ১ হাজার ১৪৩ জন, ২০২২ সালে ১ হাজার ১৭১ জন।
এছাড়া ২০২১ সালে ৪৭০২টি অভিযানে ৭ লাখ ৯২ হাজার ৫৯২ পিস ইয়াবা, ৮৮ কেজি ১৮০ গ্রাম গাঁজা, ৭৫ লিটার চোলাই মদ ও ২ গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ উদ্ধার করা হয়েছিল। ২০২২ সালে মোট ৪ হাজার ৭৪৪টি অভিযানে ৬ লাখ ৫১ হাজার ৮৪১ পিস ইয়াবা জব্দ করা হয়েছে। এ সময় ৯৫ কেজি ২৯ গ্রাম গাঁজা, ১৭৫ লিটার চোলাই মদ ও ক্রিস্টাল মেথ ২ গ্রাম, ১৭১টি বিদেশি মদের বোতল উদ্ধার করা হয়েছে।