চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী নগরীতে চলমান উন্নয়ন কাজ নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে সম্পন্ন করতে কর্পোরেশনের প্রকৌশলীদের ঠিকাদারদের তাগিদ দিতে বলেছেন। তিনি বলেন, ঠিকাদারদের অবহেলার কারণে অনেকক্ষেত্রে কর্পোরেশনকে সমালোচনার মুখোমুখি হতে হচ্ছে। নাগরিক সেবা কার্যক্রমে দুর্ভোগ সৃষ্টি হলে ঠিকাদারদের বিষয়ে কঠোর হওয়া ছাড়া উপায় থাকবে না।
তিনি গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে টাইগারপাসস্থ কর্পোরেশনের অস্থায়ী কার্যালয়ে নিজ দপ্তরে জাইকার সিটি গভর্নেন্স প্রকল্পের কর্মকর্তাদের সঙ্গে নগরীতে চলমান উন্নয়ন প্রকল্পের অগ্রগতি নিয়ে আলাপকালে এ কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল আলম, প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আবু সালেহ, কামরুল ইসলাম, মুনিরুল হুদা, ঝুলন কুমার দাশ, নির্বাহী প্রকৌশলী ফরহাদুল আলম, আবু সিদ্দীক, আশিকুল ইসলাম, জাইকার প্রকল্প পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান, সিনিয়র ফিল্ড ইঞ্জিনিয়ার নাসির হোসেন, জুনিয়র ফিল্ড ইঞ্জিনিয়ার মো. সিরাজ প্রমুখ।
মেয়রের সঙ্গে জাইকার কর্মকর্তাদের যেসব প্রকল্প নিয়ে আলোচনা হয়েছে তার মধ্যে পতেঙ্গা গার্লস হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রকল্প, বারেক বিল্ডিং থেকে নিমতলা স্ট্যান্ড রোড প্রকল্প, গুলবাগ রোড, ফইল্ল্যা পাড়া রোড, বারেক বিল্ডিং মোড় থেকে রশিদ বিল্ডিং মোড় পর্যন্ত রোড, আইস ফ্যাক্টরি রোড, স্ট্যান্ড রোড, কবি নজরুল ইসলাম রোড, মেরিনার্স রোড প্রকল্প উল্লেখযোগ্য।
আলোচনায় পতেঙ্গা গার্লস হাইস্কুলের কাজের ধীর গতির বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। এই স্কুলের কার্যাদেশ প্রাপ্ত ঠিকাদারদের অবহেলার কারণে স্কুলটির কাজ নির্দিষ্ট সময়ে শেষ করা যাচ্ছে না বলে চসিকের প্রকৌশলীরা মেয়রকে অবহিত করেন। স্কুলের কার্যাদেশ প্রাপ্ত ঠিকাদারের নিজস্ব কোনো অর্থের যোগান না থাকায় ব্যাংকের টাকায় পতেঙ্গা স্কুলের কাজ সম্পন্ন করা লাগছে। কারণ ওই স্কুলের উন্নয়ন কাজের কার্যাদেশ প্রাপ্ত ঠিকাদার তার কাজের বিপরীতে ব্যাংক ঋণ নিয়ে তাও পরিশোধ করছেন না। ফলে একদিকে কাজ শেষ করা যাচ্ছে না, অন্যদিকে ব্যাংকের লগ্নিকৃত টাকা আটকে আছে। এমতাবস্থায় ব্যাংক মধ্যস্থতা করে আরো টাকা বিনিয়োগ করে তাদের ঋণের টাকা ফেরত পেতে ঠিকাদারকে সহযোগিতা করতে চায়। তবে জাইকার কর্মকর্তারা এ ধরনের অসৎ ঠিকাদারদের বিষয়ে ভবিষ্যতে কি করা যায় তা ভেবে দেখতে বলেন। আলোচনা শুনে মেয়র উন্নয়ন কাজের ক্ষেত্রে ঠিকাদারদের নজরদারিতে রাখার পরামর্শ দেন।