পাঁচদিন পর আন্দোলন স্থগিত হওয়ায় সাগরে মাছ ধরা শুরু হয়েছে। গতকাল সকাল থেকে সাগরে যেতে শুরু করেছে মাছ ধরার জাহাজগুলো। সরকার নতুন আইন বাস্তবায়ন করবে না আশ্বাস দেয়ার প্রেক্ষিতে আন্দোলন স্থগিত করা হয়। তবে আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে বিষয়টির সুরাহা না হলে আবারো ধর্মঘটে যাওয়ার হুমকি দেয়া হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, নতুন প্রণীত সামুদ্রিক মৎস্য আইন পুনঃসংশোধনের দাবিতে সাগরে মাছ ধরা বন্ধ করে দেয় ফিশিং ট্রলার ও জাহাজের ক্যাপ্টেনসহ নাবিকরা। এই আন্দোলনে সমর্থন দেয় জাহাজ মালিকরাও। গত ৫ ডিসেম্বর থেকে সাগরে মাছ ধরা পুরোপুরি বন্ধ করে দিয়ে জাহাজগুলো কর্ণফুলীসহ বিভিন্ন নদীতে এসে নোঙর করে অলস বসে থাকে।
২৫৩ ট্রলারের ক্যাপ্টেনসহ সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ-নতুন প্রণীত আইন সাংঘর্ষিক, গণবিরোধী, মৌলিক আইনের পরিপন্থী। তারা এই আইনের পুন:সংশোধন দাবি করেছেন। নতুন প্রণীত সামুদ্রিক মৎস্য আইনে বেশ কিছু ধারা এবং উপধারার বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছেন মাছ শিকারের সাথে জড়িতরা। বিশেষ করে জরিমানা, ক্ষতিপূরণ, কারাদণ্ড এবং গ্রেপ্তারের ব্যাপারে চরম আপত্তি জানিয়েছেন তারা।
একাধিক জাহাজ মালিক এবং আন্দোলনের সমর্থনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, সংশোধিত মৎস্য আইন-২০২০ এর গেজেট নোটিফিকেশন গত ২৬ নভেম্বর প্রকাশ করা হয়েছে। ৫ ডিসেম্বর থেকে মৎস্য আহরণের সাথে জড়িত বিভিন্ন সংগঠন আন্দোলন শুরু করে।
বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন সংস্থার মাঝে আলাপ আলোচনা হয়েছে। অবশেষে সরকারের পক্ষ থেকে আইন সংশোধনের আশ্বাস দেয়ার পর আন্দোলন স্থগিত করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট জাহাজ মালিকরা বলেছেন, আইন সংশোধন করতে হলে আমাদের সাথে আলোচনা করে বিশেষজ্ঞের মতামত নিয়ে করার সুযোগ রয়েছে। স্টেকহোল্ডারদের সাথে আলোচনার মাধ্যমে আইন সংশোধনসহ যে কোন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া যায়। কিন্তু এক্ষেত্রে তা না করে একতরফাভাবে আইন করায় সংকট তৈরি হয়েছে।
উল্লেখ্য, বর্তমানে অনুমোদিত জাহাজের সংখ্যা ২৫৮। এর মধ্যে ২৫৩টি জাহাজ সাগরে মৎস্য আহরণে নিয়োজিত। প্রতিটি জাহাজে ক্যাপ্টেন, নাবিক ও শ্রমিকসহ অন্তত ৫০ জন কর্মরত থাকেন।