বিএনপি নেতাকর্মীদের দমন ও নিয়ন্ত্রণের কাজে আওয়ামী লীগ সব সরকারি প্রতিষ্ঠানকে ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির ভাইস–চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান। তিনি বলেন, ৭ জানুয়ারির প্রহসনের একতরফা নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা কুক্ষিগত করেছে আওয়ামী লীগ। পুলিশ, র্যাব, ও দুদকসহ সরকারের বিভিন্ন সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান নিয়মিত রুটিন ওয়ার্ক বাদ দিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার, নির্যাতন ও হয়রানির মাধ্যমে দমন–পীড়ন চালাচ্ছে। গতকাল বিকেলে নগরের জিইসি কনভেশন সেন্টারে দ্রব্যমূল্যের উধ্বগতির প্রতিবাদে চট্টগ্রাম বিভাগীয় জাতীয়তাবাদী শ্রমিকদলের উদ্যোগে আয়োজিত সমাবেশ ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
বিভাগীয় শ্রমিকদলের সভাপতি এ এম নাজিম উদ্দীনের সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর, মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহাংগীর আলম, একরামুল করিম, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান, নগর বিএনপি নেতা এম এ সবুর, অ্যাডভোকেট আবদুস সাত্তার, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, আবদুল মান্নান, জসীম উদ্দিন শিকদার। সঞ্চালনা করেন বিভাগীয় শ্রমিকদলের রসাধারণ সম্পাদক শেখ নুরুল্লাহ বাহার।
নোমান বলেন, দেশের শ্রমজীবী মানুষ ও সাধারণ জনগণ দ্রব্যমূল্যের সীমাহীন উর্ধ্বগতিতে দিশেহারা অবস্থায় দিনযাপন করছে। অথচ এতে সরকারের কোনো মাথা ব্যাথা নেই। সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের লোকজন সিন্ডিকেটের সাথে যুক্ত হয়ে রমজানকে পুঁজি করে ব্যবসায়িক ফায়দা নিচ্ছে আর এর খেসারত দিতে হচ্ছে দেশের জনগণকে।
নোমান বলেন, বিএনপির আহ্বানে সাড়া দিয়ে দেশের জনগণ ৭ জানুয়ারির নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে। বিএনপিকে ধ্বংস করার সরকারের নীল নকশা বুমেরাং হয়ে গেছে। সরকার দমন–পীড়ন ও প্রলোভনের মাধ্যমে বিএনপি নেতাকর্মীদেরকে আদর্শচুত্য করতে পারে নাই। যতবারই বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য সরকার অপচেষ্টা চালিয়েছে প্রতিবারেই বিএনপি ফিনিক্স পাখির মতো জেগে উঠেছে।
শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস বলেন, আওয়ামী লীগের দুর্নীতি ও দুঃশাসনের কারণে বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে অনেকটা তলাবিহীন ঝুড়িতে পরিণত হয়েছে। হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার, ডলার সংকটসহ সরকারের লুঠপাটের খেসারত দিতে হচ্ছে জনগণকে। সারাদেশে শ্রমজীবী মানুষ অনাহারে ও অর্ধাহারে জীবনযাপন করছে। এই সরকারের পতন ছাড়া চলমান সংকট থেকে মুক্তির কোন উপায় নেই।