দেশীয় ফল রক্ষায় সচেতন হওয়া চাই

| বুধবার , ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ at ৫:০১ পূর্বাহ্ণ

কিছুদিন আগেও দেশের ফলের বাজারের দোকান ও পাড়ায়মহল্লার দোকানগুলোতে শোভা পেত দেশীয় বিভিন্ন জাতের রাসায়নিকমুক্ত তাজা ফলমূলের। কিন্তু বর্তমানে বিদেশী ফলের আগ্রাসী ভূমিকা ও দ্রুত নগরায়নের কারণে ফসলী জমির সংকটের ফলে গ্রাম বাংলার বিভিন্ন এলাকায় দেশীয় ফলের চাষাবাদ নেই বললেই চলে। ফলে সুস্বাদু ও রাসায়নিকমুক্ত স্বাস্থ্যকর আমাদের দেশীয় ফলমূলের খাবার টেবিল দখলে নিয়েছে ড্রাগন ফল, স্ট্রবেরি, চেরি, আঙুর, নাশপতি, মাল্টা, কমলা, খেজুর, বেদেনাসহ রাসায়নিকযুক্ত বিভিন্ন বিদেশি ফল। বাংলাদেশের কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের তথ্যমতে, বৈশাখ থেকে শ্রাবণএ চার মাসেই পাওয়া যায় শতকরা ৫৪ শতাংশ দেশি ফল এবং বছরের বাকী মাসগুলোতে পাওয়া যায় ৪৬ শতাংশ। বর্তমানে আমাদের দেশে দেশি ফলের সংখ্যা প্রায় ৬০৭০টি। দেশীয় এইসব ফলের মধ্যে কাউফল, করমচা, ডেউয়া, আঁশফল, গাব, জগডুমুর, চাম্বুল, আতাফল, ডুমুর, চালতা, অরবরই, বিলিম্বি, শরিফা, সাতকরা, তৈকর, ডেফল, লুকলুকি, বৈচি, কদাচিৎ শহরাঞ্চলে দেখা গেলেও আমাদের নতুন প্রজন্ম এইসব দেশীয় ফলের নামও জানে না। অতএব, বিদেশি ফলের আগ্রাসী ভূমিকা থেকে দেশীয় ফলকে রক্ষা করার পাশাপাশি আমাদের নতুন প্রজন্মের জন্য নিরাপদ স্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে আমাদের সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।

আবদুর রহিম

কমার্স কলেজ রোড,

চট্টগ্রাম।

পূর্ববর্তী নিবন্ধটিপু সুলতান দুর্গ
পরবর্তী নিবন্ধপ্রবোধচন্দ্র সেন : ছন্দবিশারদ ও রবীন্দ্রগবেষক