দেখতে দেখতে প্রায় ১৪ বছর, আন্দোলন হবে কোন বছর? বিএনপিকে এ প্রশ্ন করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। গতকাল শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) মিলনায়তনে ছাত্রলীগের আলোচনা সভায় তিনি এ প্রশ্ন করেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, ১৩ বছর আন্দোলন করলেন। ঈদ এলেই বলেন ঈদের পর, পরীক্ষা হলে বলেন পরীক্ষার পর। ১৩ বছরে কত ঈদ এলো আর কত ঈদ যে গেল। কত পরীক্ষা এলো আর গেল। দেখতে দেখতে প্রায় চৌদ্দ বছর, আন্দোলন হবে কোন বছর? খবর বিডিনিউজ ও বাংলানিউজের।
এ সময় বিএনপি আন্দোলনেও ফেল মেরেছে, নির্বাচনেও ফেল করেছে মন্তব্য করেন সেতুমন্ত্রী। তিনি আরও বলেন, এখন তারা বলে আওয়ামী লীগ সন্ত্রাস করে পরবর্তী নির্বাচনে জিতবে। সন্ত্রাসী দল হিসেবে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত বিএনপি। দলটিকে যুক্তি দিয়ে কথা বলার পরামর্শও দেন ওবায়দুল কাদের।
কাদের বলেন, আমরা নিজেদের টাকায় পদ্মা সেতু তৈরি করছি। বঙ্গবন্ধুকন্যার সে স্বপ্ন আজ সত্যে পরিণত হয়েছে। আর বেশি দূরে নয়, চন্দ্রাদীপ্ত পূর্ণিমা রাতে পদ্মা সেতু থেকে দাঁড়িয়ে বাংলার মানুষ পূর্ণিমার চাঁদ দেখতে পাবে। আগামীকাল (রোববার) সারসংক্ষেপ (সামারি) পাঠাব নেত্রীকে। তিনি তখন সময় দেবেন, সেই সময় আমরা পদ্মা সেতু উদ্বোধন করব। নেতা-কর্মীদের আগাম দাওয়াত দিয়ে গেলাম।
বিশ্বে চলমান সঙ্কটের মধ্যেও বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে দাবি করে কাদের বলেন, যত দিন শেখ হাসিনা নেতৃত্বে থাকবে, তত দিন বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান কিংবা পাকিস্তানের সঙ্গে তুলনা নয়, বাংলাদেশকে তুলনা করা হবে আমেরিকা-ইউরোপের সঙ্গে। ১৩ বছর আগের বাংলাদেশ এর আজকের বাংলাদেশ কোথায়! শেখ হাসিনা ফিরে এসেছিলেন বলেই দেশের চেহারা পাল্টে গেছে। তিনি ফিরে এসেছিলেন বলেই বাংলাদেশ আজ অন্ধকার থেকে আলোর পথের যাত্রী। শেখ হাসিনা এসেছিলেন বলে বাংলাদেশ আজ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছে। বঙ্গবন্ধু এই জাতিকে রাজনৈতিক স্বাধীনতা দিয়েছেন আর শেখ হাসিনা অর্থনৈতিক মুক্তি দিয়েছেন। আমাদের আজকের মুক্তিসংগ্রামের কান্ডারি তিনি।
সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন-অর্জনের চিত্র তুলে ধরে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বিএনপি নেতাদের ইঙ্গিত করে বলেন, দেশের মানুষ ভালো আছে বলেই তাদের মন খারাপ। ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়ের সভাপতিত্বে এই সভায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদ, ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসাইন বক্তব্য রাখেন।