দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) ডাকে সাড়া দেননি কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের ভূমি অধিগ্রহণ শাখার ৪ কর্মকর্তা। তারা হলেন, ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা (এলএও) মো. শামীম হুসাইন, কানুনগো নুরুল ইসলাম, সার্ভেয়ার আশরাফুজ্জামান ও সার্ভেয়ার মো. জিয়াউর রহমান। তাদের গতকাল সোমবার দুদক চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-২ এ হাজির হয়ে দুদকের তদন্ত কর্মকর্তার কাছে বক্তব্য প্রদানের কথা ছিল। এসব কর্মকর্তাদের সকলেই কক্সবাজার পৌরসভার কক্সবাজার ভু-উপরস্থ পানি শোধনাগার স্থাপন প্রকল্পের ভূমি অধিগ্রহণের চেক প্রদানের সাথে জড়িত। প্রকল্পটি ‘প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প’ হিসেবে চিহ্নিত। এ ব্যাপারে জানতে এলএও মো. শামীম হুসাইনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমারতো ৩০ নভেম্বর হাজিরের কথা ছিল না।’ তবে দুদকের সংশ্লিষ্ট সূত্র নিশ্চিত করেছেন, কক্সবাজার ভূমি অধিগ্রহণ শাখার এলএও শামীম হুসাইনসহ একজন কানুনগো ও দুইজন সার্ভেয়ারের ৩০ নভেম্বর দুদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সময় নির্ধারিত ছিল।
প্রসঙ্গত, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি র্যাবের অভিযানে ঘুষের ৯৩ লাখ ৬০ হাজার ১৫০ টাকাসহ গ্রেপ্তার হন কক্সবাজার এলএ শাখার সার্ভেয়ার ওয়াশিম খানের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া দুদকের মামলায় ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার হওয়া ৪ আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তাদের স্বীকারোক্তিতে কক্সবাজার পৌর মেয়র মুজিবুর রহমান, তাঁর ছেলেসহ কক্সবাজারের দুইজন সাংবাদিক, কয়েজজন আইনজীবী, উপজেলা চেয়ারম্যান, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, পৌরসভার কাউন্সিলরসহ প্রায় অর্ধশত দালালের নাম উঠে আসে। তাছাড়া আসামিদের স্বীকারোক্তিতে জেলা প্রশাসনের ভূমি অধিগ্রহণ শাখার বর্তমান ও সাবেক প্রায় ৫৭জন কর্মকর্তা কর্মচারির নামে অধিগ্রহণের কমিশন বাণিজ্যের অভিযোগ উঠে আসে।