সম্মেলনের দুই মাস পরও কমিটি পায়নি চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা যুবলীগ। শোকের মাস আগস্ট নানা কর্মসূচিতে কেটে যাবে। এখন সেপ্টেম্বর মাসের দিকে তাকিয়ে আছেন নতুন কমিটির পদ প্রত্যাশীরা। তিন ইউনিটে যুবলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে যুবলীগের চেয়ারম্যানের দপ্তরে বায়োডাটা জমা দিয়েছেন ১৫৪ প্রার্থী।
তবে কেন্দ্রীয় যুবলীগের দুই শীর্ষ নেতা আজাদীকে জানান, ১৫৪ প্রার্থীর বায়োডাটা থেকে যাচাই-বাছাই করে অনেকটা চূড়ান্ত করা হয়েছে। অন্যান্য পদের জন্য বায়োডাটা জমা পড়েছে প্রায় দেড় হাজারের মতো। সেখান থেকে যোগ্যদের বাছাই করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
গত ২৮, ২৯ ও ৩০ মে দক্ষিণ, উত্তর ও মহানগর যুবলীগের সম্মেলনে কাউন্সিল অধিবেশনের মাধ্যমে চট্টগ্রামে তিন ইউনিটে যুবলীগের কমিটি বিলুপ্ত করা হয়। এতে যুবলীগের চেয়ারম্যান ও সাধারণ সম্পাদক উপস্থিত থেকে তিন ইউনিটের নতুন কমিটিতে আগ্রহী সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক প্রার্থীদের বায়োডাটা নিয়ে গেছেন। ঢাকা থেকে কমিটি ঘোষণা করার কথা। কিন্তু দুই মাস পেরিয়ে গেলেও কমিটি ঘোষণা করা হয়নি।
প্রায় ২১ বছর পর ২৮ মে দক্ষিণ জেলা যুবলীগের সম্মেলন হয় পটিয়া হাই স্কুল মাঠে। ২২ বছরের বেশি সময় পর ২৯ মে হাটহাজারী পার্বতী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে উত্তর জেলা যুবলীগের সম্মেলন হয়। পরদিন ৩০ মে কিং অব চিটাগাংয়ে মহানগর যুবলীগের সম্মেলন হয়। সেই থেকে চট্টগ্রামে যুবলীগের তিন ইউনিটে কমিটি নেই। নেই কোনো সাংগঠনিক কর্মসূচি। দুই মাসের বেশি সময় ধরে কমিটি না থাকা এবং তিন ইউনিটে কমিটিতে কারা স্থান পাচ্ছেন তা নিয়ে ‘টেনশনে’ আছেন নেতাকর্মীরা।
জানা গেছে, মহানগর যুবলীগের সভাপতি পদে ২৮ জন, সাধারণ সম্পাদক পদে ৬৫ জন প্রার্থী কেন্দ্রীয় নেতাদের সামনে নিজেদের প্রার্থিতা তুলে ধরেছিলেন। দক্ষিণ জেলায় সভাপতি পদে ১০ জন ও সাধারণ সম্পাদক পদে ২২ জন, উত্তর জেলায় সভাপতি পদে ৭ জন ও সাধারণ সম্পাদক পদে ২২ জন প্রার্থী কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে তাদের প্রার্থিতা তুলে ধরেন।