দুই চাকায় বাদাবনের সমীপে

ফকিরহাট-বাগেরহাট-মোরেলগঞ্জ-রায়েন্দা

বাবর আলী | সোমবার , ৩ জানুয়ারি, ২০২২ at ১১:০৫ পূর্বাহ্ণ

পর্ব- ১
‘উঠল বাই তো কটক যাই’ স্টাইলে বেশ কিছুদিন ঘুরাঘুরির পর এবার ইচ্ছে হলো একটু পরিকল্পনামাফিক এডভেঞ্চারের। গত মে মাসে খুলনায় চাকরি হবার পর থেকে সানি কদিন পরপরই ওই অঞ্চলে একটা বড় রাইড দেয়ার ব্যাপারে তাগাদা দেয়ার উপর রেখেছিল। আমার ক্ষণস্থায়ী চাকরি জীবনের ধারা অব্যাহত রেখে এবং চাকরি পরিবর্তনের উছিলায় মাত্র এক মাসের মাথায় খুলনা ছেড়ে সিলেটে। খুলনা ছেড়ে আসলেও পরিকল্পনাটা অবশ্য ছাড়িনি। মাঝে দিনদুয়েক গুগল আর্থ আর ম্যাপ ঘেঁটে একটা খসড়া পরিকল্পনা দাঁড় করিয়ে ফেললাম। সুন্দরবনের একেবারে গা ঘেঁষে সাইকেল চালানোর পরিকল্পনা এবার। পথের একপাশে লোকালয়, অন্যপাশে নদী বা খাল পেরোলেই বাঘ-সিঙ্গির রাজত্ব (সিঙ্গি অবশ্য এ অঞ্চলে নেই)! তাদের রাজত্বের গুণমুগ্ধ প্রজা হিসেবে কাছ থেকে রাজ্য দেখার ইচ্ছে। পরিকল্পনা করার সময় একটা ব্যাপারই মাথায় রেখেছিলাম, বামের দিকে চোখে ফেরালেই যেন দেখতে পাই বাদাবনের নিবিড় বুননকে। আর অত্র অঞ্চলের বনঘেঁষা লোকালয় আর লোকজন দেখার লোভও কোন অংশে কম ছিল না। মোরেলগঞ্জ থেকে শুরু করার ইচ্ছে থাকলেও সিলেট থেকে সরাসরি গাড়ি না থাকায় আমাদের সাইকেলে যাত্রা শুরু হলো বাগেরহাটের ফকিরহাট থেকে। সিলেট থেকে ফকিরহাট পৌঁছাতে সময় লেগেছে পাক্কা আঠারো ঘন্টা! সানি অবশ্য কিশোরগঞ্জ থেকে ঢাকা হয়ে ভোরে ভোরেই ফকিরহাটে ফকিরি বেশে হাজির। ওর পায়ের দিকে তাকাতেই দেখলাম পা বেশ ফোলা। কদিন আগে থেকে বয়ে বেড়ানো ক্ষতটা থেকে পুঁজও বেরোচ্ছে। ক্ষতটাকে ভায়োডিন-গজ দিয়ে চলনসই অবস্থায় আনতে কিছুটা সময় ব্যয় হলো।
ফকিরহাট থেকে খানিকটা উল্টোদিকে যাত্রা শুরু। রাবাত ভাই আগেই বলে রেখেছিলেন, ফকিরহাটের পুরনো শিবমন্দিরটা যেন দেখে যাই। মেডিকেলের মোড় হয়ে ডানে বাঁক ঘুরতেই বেশ কিছু চিংড়ির ঘের। ঘেরের ঘেরাওয়ের মধ্য দিয়েই পৌঁছে গেলাম শিববাটির শিব মন্দিরে। ফটকে মন্দির স্থাপনের সাল লেখা ১১০৫ সাল। সেটি সত্য হলে কিংবা সালটা ইংরেজি হলে, মন্দিরের বয়স প্রায় হাজার বছর। অবশ্য বাংলা সনেও লেখা হতে পারে। যদিও সংস্কার আর রঙ-চঙের জন্য ব্যাপারটা বোঝা দুষ্কর। মন্দির ঘিরে এক চক্কর দিয়ে সবকয়টা ফটক বন্ধ পেলাম। সানি এক মহিলাকে জিজ্ঞেস করে জানতে পারল, মন্দির খোলা হয় সকালে। একজন ঠাকুর আছেন এর দায়িত্বে। ওই মুহূর্তে আর ভেতরে প্রবেশ সম্ভব নয় বলেই ফেরার পথ ধরলাম। মহাসড়কে উঠে সেতুটার ঠিক পরেই বারুইপাড়ার রাস্তা। বারুইপাড়ার রাস্তাই আমাদেরকে নিয়ে যাবে পরবর্তী গন্তব্য কোদলা মঠের দিকে। সরু এই রাস্তাটি ছায়া সুনিবিড়। বাড়ির আশেপাশে নারকেল গাছই প্রধান বৃক্ষ। সাথে অবশ্য পাল্লা দিয়ে আছে সুপারী গাছও। সুপারী গাছ শুধু গেরস্থ বাড়ির সৌন্দর্য আর পান খাওয়ার অনুষঙ্গই যোগাচ্ছে না, একই সাথে গৃহস্থের বাড়ির আবরু রক্ষার দায়িত্বও বাঁশের উপর ছড়িয়ে রাখা সুপারী গাছের খোলের উপর ন্যস্ত হয়েছে।
কোদলা মঠের অবস্থান বাগেরহাটের সদর উপজেলার অযোধ্যা গ্রামে। এই মঠ মূলত অনেকটাই ফরিদপুরের মধুখালীর মথুরাপুর দেউলের মতো দেখতে। রাজা প্রতাপাদিত্যের হাত ধরেই এর নির্মাণ। এক মুসলিম মা এসেছে তার দুই ছেলেকে সাথে নিয়ে। পাঞ্জাবী-টুপি পরিহিত ছেলে দুটি মাদ্রাসা পড়ুয়া। বাস্তব জীবনে এইসব অসাম্প্রদায়িক ব্যাপার আনন্দ দিলেও সংখ্যালঘুদের উপর ক্রমাগত সহিংসতার চিত্র দেখতে দেখতে হতাশ। স্থানীয় এক ছেলের সাথে মঠ প্রাঙ্গণে খানিকক্ষণ গল্প করে চলে এলাম যাত্রাপুর বাজারে। টং দোকানে বসে চা পানের ফাঁকে দোকানী নানান কথার ফাঁকে আমার চুল দেখিয়ে ইঙ্গিত করে জানতে চাইলো চুলে নারকেল তেল ব্যবহার করি কিনা। না বলা সত্ত্বেও এক বোতল তেল কোথা থেকে জানি বের করলেন। নাকের কাছে ধরতেই বেশ ঝাঁঝালো গন্ধ। ব্যবহার করি না দেখে বুড়ো দোকানীকে নিরাশ করতে হলো। যাত্রাপুরের অল্প পরেই ফকিরহাট-বাগেরহাট সড়কে উঠে পড়লাম। খানিক বাদেই দেখা ভৈরব নদের সাথে। তীরে অসংখ্য নারকেলের খোসা ছাড়িয়ে শুকানো হচ্ছে। বেশ কয়েকজন নারী-পুরুষ সে কাজেই নিয়োজিত। খবর নিয়ে জানা গেল, খোসাগুলো বালিশ-জাজিম ইত্যাদি তৈরিতে ব্যবহার করা হবে। এই রাস্তাটা আমাদেরকে নিয়ে যাবে খান জাহান আলীর মাজার লাগোয়া খুলনা-বাগেরহাট মহাসড়কে। পথিমধ্যে ‘সাবেকডাঙ্গা পুরাকীর্তি’ লেখা সাইনবোর্ড দেখে থেমে গেলাম। এই জায়গার নাম জানলেও গুগল ম্যাপে বহু খোঁজাখুঁজি করেও পাইনি। মূল রাস্তা থেকে ডানে মিনিট দুয়েক সাইকেল চালাতেই দেখা পেলাম প্রার্থনা কক্ষের। মসজিদের আদলে তৈরি হলেও এর উপরে নেই কোন গম্বুজ। ধারণা করা হয়, এটি মসজিদের বদলে প্রার্থনার কক্ষ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। খান জাহান আলী স্বয়ং এখানে প্রার্থনা করতেন।
আবার চালানো শুরু করে মাজারের পাশ ঘেঁষে ডানে মোড় নিয়ে সোজা ষাট গম্বুজ মসজিদ। কোভিড-১৯ সংক্রান্ত বিধি-নিষেধ শিথিল হওয়ায় অসংখ্য মানুষের ভিড়। ভিড় দেখে খানিকটা ভয় পেয়ে উল্টোদিকের সিংগাইর মসজিদের কম্পাউন্ডে ঢুকে গেলাম। এক গম্বুজ বিশিষ্ট এই মসজিদের প্রাঙ্গণের টিউবওয়েলের ঠান্ডা জলেই সুশীতল হল দেহ-প্রাণ। ভিড় এড়াতে ষাট গম্বুজ বাদে এই এলাকার অন্য মসজিদগুলোর পানে দু’চাকা ছোটালাম। সবকয়টা মসজিদই খান জাহান আলীর জীবনকালের সমসময়িক। ঘোড়া দিঘির পাড়ে প্রচন্ড দাবদাহের দিনে শীতল বাতাসের ছোঁয়া পেয়ে সানি দাঁড়িয়ে পড়তেই আমি সঙ্গী হলাম। দিঘির শীতল জলে ও বারকয়েক গোসলের টোপ দিলেও আমি সেটা গিললাম না। আরও খানিকটা সাইকেল চালিয়ে ঘোড়া দিঘির ডানদিকে বাঁক নিয়ে চুণখোলা মসজিদে। গ্রামের রাস্তার একেবারে শেষ মাথায় এর অবস্থান। দেখতে সিংগাইর মসজিদের মতোই। পুরু দেয়াল আর এক গম্বুজ বিশিষ্ট। পুরাকীর্তির পাশের বেমানান অর্ধসমাপ্ত আধুনিক দালানটির ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলাম স্থানীয় একজনকে। তার ভাষ্যমতে, সরকার মসজিদ সংলগ্ন জায়গাটা অধিগ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নেয়ার পরপরই ওই জমির মালিক তড়িঘড়ি একটা স্থাপনা দাঁড় করিয়ে দেন। স্থাপনা থাকলে সরকার থেকে ক্ষতিপূরণ বাবদ বেশি টাকা পাওয়া যাবে, উদ্দেশ্য এই একটাই। গ্রামের মানুষ মানেই সহজ-সরল- এই কথাটা সম্ভবত একটা মিথে পরিণত হতে যাচ্ছে। চূণখোলা থেকে বেরিয়ে একইরকম দেখতে আরও একটা মসজিদ দেখতে গেলাম। পঞ্চদশ শতাব্দীতে তৈরি এই মসজিদকে ডাকা হয় বিবি বেগনী মসজিদ নামে। ধারণা করা হয়, বিবি বেগনী ছিলেন খান জাহান আলীর অনুসারী।
এইদিকে আসলেই ইউনুসের চায়ের দোকানে একবার থামা হয়ই। গরুর খাঁটি দুধের তৈরি এই চায়ের উপরের অংশে ভাসতে থাকে বাদামের কুচি। চায়ের স্বাদ লেগে থাকতে থাকতেই আধা কিলোমিটার দূরের রণবিজয়পুর মসজিদও ঘুরে আসলাম। এবার মসজিদ পর্ব শেষ করে এক পিচ্চির সাথে সাইকেল রেস দিতে দিতে বাগেরহাট মূল শহরে। মাঝে ‘দশ গম্বুজ মসজিদ এইদিকে’ লেখা সাইনবোর্ড দেখে ডানে ঢুকে পড়েছিলাম। কিলোমিটার খানেক গিয়ে মসজিদ দেখে চরম হতাশ। গত ঘন্টা দুয়েক ধরে যেসব পুরাকীর্তি দেখছিলাম, সেসব মূলত পঞ্চদশ শতকের। আর এই রঙ চকচকে মসজিদের নির্মাণকাল ১৯৪৬ সাল। অবশ্য সাইনবোর্ডে ব্রিটিশ আমলের নির্মিত মসজিদ উল্লেখ করলে আরও বেশি লোকের দৃষ্টি আকর্ষণ করা যেত!
দড়াটানা সেতু পার হতেই বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইন্সটিটিউট। এই রাস্তা ধরে সোজা এগোলে যাওয়া যায় পিরোজপুরে। আর সাইনবোর্ড থেকে ডানে-বামে এগোলে পৌঁছানো যায় বাগেরহাটের বিভিন্ন উপজেলা সদরে। খানিক পরেই বেমরতা। এখানেই চারণ কবি শামসুদ্দিনের জন্ম। ১৯৫২ এর ভাষা আন্দোলন নিয়ে প্রথম কবিতা লিখে চির স্মরণীয় হয়ে আছেন তিনি। সময় দুপুর পেরিয়ে বিকাল প্রায়। পেটভর্তি ক্ষুধা নিয়ে চোখে পথের সুধা পান করা যায় না। চোখ দুটো পথের দু’পাশের নানান দৃশ্যাবলী দেখার বদলে ভাতের হোটেল খুঁজতে শুরু করল! অবশেষ ভাতের হোটেলের দেখা মিলল পূর্ব গোয়ালমাঠে। মালকিনকে খাবারের মেন্যু জিজ্ঞেস করাতে জানা গেল, নাইলোটিকা আর পেট্মোটা লাল মাছ আছে এই মুহূর্তে। বারকয়েক জিজ্ঞেস করেও ‘পেটমোটা লাল মাছ’ এর সঠিক নাম বের করা গেল না। নাম না জানার ক্ষোভ সেই মাছকে পাতে তুলে নিয়ে খেয়েই মেটালাম! পুঁইশাকের সাথে পেটমোটা লাল মাছ দিয়ে খাবারটা বেশ ভালোই জমল। দামেও বেশ সস্তা। দুজনে দুই ধরনের মাছ আর শাক দিয়ে পেটপূজা সারলাম ১২০ টাকায়। একটু এগিয়েই সাইনবোর্ড বাজার। নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ডের ন্যায় এই জায়গাও মহাব্যস্ত। আমাদের গন্তব্য মোরেলগঞ্জ হয়ে রায়েন্দা বাজার হওয়ায় আমরা ডান অভিমুখী রাস্তা ধরলাম। পূর্ব গোয়ালামাঠে গুগল ম্যাপ দেখে সানিকে বলেছিলাম, রায়েন্দা আর ৪০ কি.মি.। সাইনবোর্ড থেকে মিনিট বিশেক চালানোর পরে একটা মাইলফলকে লেখা ‘রায়েন্দা ৫০ কি.মি.’!
রাস্তার দুপাশে উঁকি দিচ্ছে আয়তাকার সব চিংড়ির ঘের। আর সেসবের পাড়জুড়ে অসংখ্য নারকেল গাছ। সানি এক লোককে দেখিয়ে আফসোসের সুরেই বলল, ‘চারপাশে সব চিংড়ির ঘের। আর এই লোক কিনা সেসব ফেলে বড়শিতে পুঁটি ধরছে। এর বিচার হওয়া উচিত!’ কিছুক্ষণের মধ্যেই দৈবজ্ঞহাটি বাজার। নব্বইরশি বাসস্ট্যান্ড হয়ে ফেরিঘাটে যখন পৌঁছাই, তখন ফেরি ছেড়ে দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। আমার হ্যাট আর চুল দেখে ফেরির এক লোক খানিকটা কনফিউজড হয়ে কাকে যেন জানান দিল, “একটু থামাও। বিদেশী আসতাছে!“ বিদেশী কোটায় শেষ মুহূর্তে ফেরির সওয়ারী হয়ে গেলাম। ওই ভদ্রলোক অবশ্য এখানেই থামেননি। আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, “কিস মি? হোয়ার ইউ ফ্রম?” আমি চোখ বড় করে তাকাতেই সম্ভবত ভুল বুঝে বলে উঠলেন, “এঙকিউজ মি।” রীতিমতো ভয়ই পেয়ে গিয়েছিলাম। ফেরীতে উঠার বদলে এ কেমন আবদার!
পানগুছি নদী পার হয়েই ওপারে মোরেলগঞ্জ বাজার। আমাদের আজকের গন্তব্য শরণখোলার রায়েন্দা বাজার তখনো ২৩ কিমি দূরে। গেরুয়া রঙের সূর্যটার দিকে চোখ রাখতে রাখতেই প্যাডেল ঘুরছে। সন্ধ্যার কালো চাদর পৃথিবীটাকে মুড়িয়ে নেয়ার আগে যতদূর সম্ভব এগিয়ে যাবার ইচ্ছে। বাকি পথটুকু বেশ জোরেই প্যাডেল ঘোরালাম। চেয়ারম্যান বাজারে এক দফা কোক বিরতি দিয়ে আবার স্যাডলে। চরাচরজুড়ে ততক্ষণে অন্ধকার। আকাশে আধখানা চাঁদের সঙ্গী হয়েছে দু’তিনটে তারা। রায়েন্দা বাজারে পৌঁছাই সন্ধ্যা সাতটার দিকে। পূজোর হাঁকডাক চারিদিকে। মিষ্টির দোকানগুলোতে বেশ ভিড়। রাতের খাবারের আগে এক চক্করে পুরো বাজারটা ঘুরে ফেললাম। আদি সাতক্ষীরা ঘোষ ডেয়ারীর লোভে পড়ে শরীরে ঢুকে গেল আরো কিছু পোড়ানোর উপযুক্ত ক্যালরি! রাতে হোটেলে ফিরে তাড়াতাড়ি শুয়ে আগের রাতের বাস জার্নির ছাড়াছাড়া ঘুমকে পুষিয়ে নেয়ার চেষ্টায় বিছানায় পিঠ ঠেকাতেই বিপত্তি। হোটেল ম্যানেজারের যুবক ছেলে ডেকে রিসেপশনে নিয়ে গেল। সকালে বেরুব বলে টাকা-পয়সার ঝক্কি আগেই শেষ করে রেখেছিলাম। ভাবলাম নিশ্চয় খুব জরুরি কিছু হবে। রিসেপশনে বসিয়ে ইনিয়ে-বিনিয়ে যা বলল তার সরল তরজমা হলো, ফেসবুকে তার হোটেলকে ট্যাগ করে যেন চেক-ইন দিই আমরা! এত রাতে ঘুম থেকে উঠিয়ে এ-কেমন আবদার! আমার বিস্মিত হবার ক্ষমতাও তখন লোপ পেয়েছে। ইচ্ছে হচ্ছিল, সানিকে ঘুম থেকে উঠিয়ে বাজারে পাঠিয়ে সন্ধ্যায় রায়েন্দা বাজারের এক লাইব্রেরিতে দেখা বিশাল সাইজের বেত কিনতে পাঠাই। বেত আসতে যত সময় লাগে, ততক্ষণ কানমলা চলুক ব্যাটার!

স্থানীয় এক ছেলের সাথে মঠ প্রাঙ্গণে খানিকক্ষণ গল্প করে চলে এলাম যাত্রাপুর বাজারে। টং দোকানে বসে চা পানের ফাঁকে দোকানী নানান কথার ফাঁকে আমার চুল দেখিয়ে ইঙ্গিত করে জানতে চাইলো চুলে নারকেল তেল ব্যবহার করি কিনা। না বলা সত্ত্বেও এক বোতল তেল কোথা থেকে জানি বের করলেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপাঁচ জুট মিল যাচ্ছে বেসরকারি খাতে, ৬ জানুয়ারি চুক্তি
পরবর্তী নিবন্ধলাল মোরগের ঝুঁটি