উখিয়ায় ছাগল চুরির অপবাদে দুই কিশোরকে গাছে ঝুলিয়ে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। গত শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে উখিয়ার রত্নাপালং ইউনিয়নের তেলীপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি জানাজানি হয়। ভুক্তভোগীরা হলেন উখিয়া রত্নাপালং তেলীপাড়া গ্রামের মৃত আবদুল হামিদের ছেলে মোহাম্মদ ইমন (১৫) ও একই এলাকার মৃত জাফর আলমের ছেলে মোস্তাক মিয়া (১৮)।
ভিডিওতে দেখা যায়, কিশোর ইমন ও মোস্তাককে রশি দিয়ে বেঁধে গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে কয়েকজন মারধর করছে আর আশপাশে দাঁড়িয়ে তা দেখছেন ওই বাড়ির লোকজন ও ওই দুই কিশোরের স্বজনরা। এ সময় অনেককে ভিডিও করতেও দেখা গেছে। মারধরে ইমন ও মোস্তাকের শরীর রক্তাক্ত হতে দেখা গেছে।
ইমনের পরিবারের অভিযোগ, শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত কয়েক দফায় ইমনের ওপর এ অমানবিক নির্যাতন চালানো হয়। দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর রাতে তাকে উদ্ধার করে উখিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
হাসপাতালে ইমন বলেন, ৯ মাস আগে একটি ছাগল হারিয়ে যায়। ওই ছাগল চুরির সন্দেহে শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে রত্নাপালং তেলীপাড়া গ্রামের শাকিব (১৯) ও আনোয়ারের (২৫) নেতৃত্বে ৪-৫ জন কৌশলে আমাদের ডেকে নিয়ে যায় তাদের বাড়িতে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই গাছের সঙ্গে রশি দিয়ে বেঁধে ঝুলিয়ে লাঠি দিয়ে বেধড়ক পেটাতে থাকে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা কয়েক দফায় শারীরিক নির্যাতন চালানো হয়েছে। ইমনের বড় ভাই মামুন বলেন, শাকিবদের ছাগলটি ৯ মাস আগে হারিয়ে গেছে। হঠাৎ আমার ভাইকে কাল ডেকে নিয়ে আমাদের সামনে গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে বেধড়ক মারধর করেছে। আর আমি চিৎকার দিচ্ছিলাম। চিৎকার দেওয়া ছাড়া আমার কিছু করার ছিল না। কারণ তারা ওই এলাকার প্রভাবশালী। ইমনের আবস্থা আশঙ্কাজনক বলে তিনি জানান।
উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, এখনো পর্যন্ত আমরা কোনো অভিযোগ পাইনি। তবে যে ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়েছে সেটি আমাদের নজরে এসেছে। ছাগল চুরির জন্য এভাবে কাউকে নির্যাতন করা যায় না। অভিযুক্তদের আমরা আইনের আওতায় আনব।