প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের গতকালের রোমঞ্চকর এক ম্যাচে দুই অফিস দলের লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত জয়টা তুলে নিয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ক্রীড়া সংস্থা। এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত এই ম্যাচে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ক্রীড়া সংস্থা ১ উইকেটে হারিয়েছে সিটি কর্পোরেশন একাদশকে। স্বল্প রানের এই ম্যাচে ছড়ি ঘুরিয়েছে বোলাররা। তবে শেষ হাসিটা হাসল বন্দর দল। এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমেছিল সিটি কর্পোরেশন একাদশ। কিন্তু শুরু থেকেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে সিটি কর্পোরেশন। ১০ রানে প্রথম উইকেট হারায় সিটি। দ্বিতীয় উইকেটে মনজু এবং মোরশেধ মিলে যোগ করেন ৩২ রান।
যা সর্বোচ্চ পার্টনারশিপ। এ জুটি ভাঙ্গার পর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে সিটি কর্পোরেশন একাদশ। বিশেষ করে আবিরুজ্জামানের মারাত্মক বোলিং এর সামনে পড়ে কোমর সোজা করে দাড়াতে পারেনি সিটি কর্পোরেশন একাদশ। এই স্পিনার নিয়েছেন ৪ ওভার বল করে মাত্র ৩ রান খরচায় ৫ উইকেট। যা প্রিমিয়ার ক্রিকেটে সেরা বোলিং। মূলত তারই বোলিং তোপের মুখে পড়ে মাত্র ১০০ রানে অল আউট হয় সিটি কর্পোরেশন। তাও ২২ ওভার বাকি থাকতে। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ২৯ রান করেন জাবেদ। এছাড়া রোকন ১০, মোরশেদ ১৬, শাহাদাত ১৩ এবং লিখন করেন ১০ রান। দলটি তাদের শেষ ৫ উইকেট হারায় মাত্র ৫ রানে। আবিরের মারাত্নক বোলিং ছাড়াও বন্দর দলের বাকি পাঁচ বোলারের সবাই নিয়েছে একটি করে উইকেট। মাত্র ১০১ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই বিপর্যয়ে বন্দর ক্রীড়া সংস্থাও। ১০ রানে প্রথম উইকেট হারানো বন্দর ৩৬ রানে হারায় ৫ উইকেট। সে চাপ থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছিলেন রাহি এবং তারেক। এদুজন যখন ব্যাট করছিলেন তখন মনে হচ্ছিল সহজ জয়ই পেয়ে যাচ্ছে বন্দর কর্তৃপক্ষ ক্রীড়া সংস্থা।
কিন্তু এজুটি ভাঙতেই তাসের ঘরের মত খসে পড়তে থাকে বন্দর দলের ব্যাটিং লাইন। ৪৯ রান যোগ করা এ জুটি ভাঙ্গে ২১ রান করা তারেক ফিরলে। মাত্র ২ রানের ব্যবধানে পরপর দুই ওভারে ফিরেন রাহি, রতন দাশ এবং ইনজামাম। ৮৭ রানে ৯ উইকেট হারিয়ে বন্দর দল যখন হারের প্রহর গুনছিল তখন রিফাত এবং হাসিব মিলে দলকে এনে দেন রোমঞ্চকর এক জয়। ১ উইকেটের জয়ে উচ্ছাসে মাতে বন্দর দল। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ২৬ রান করেন রাহি। এছাড়া ২১ রান করেন তারেক। দুই অংকের ঘরে যেতে পারা অপর দুজন হলেন ১৫ রান করা সাব্বির এবং ১১ রান করা রাসেল। সিটি কর্পোরেশন একাদশের পক্ষে সাজ্জাদ হোসেন নিয়েছেন ২১ রানে ৫ উইকেট। কিন্তু দলকে জেতাতে পারেননি। ৩টি উইকেট নিয়েছেন রনি চৌধুরী।