দাবদাহ থাকবে মে মাসেও, সঙ্গে ঘূর্ণিঝড়ের আভাস

| শুক্রবার , ৩ মে, ২০২৪ at ৬:২৫ পূর্বাহ্ণ

তপ্ত এপ্রিল মাস পার হওয়ার পর মে মাসও এসেছে তাপপ্রবাহের পূর্বাভাস নিয়ে। সেই সঙ্গে চলতি মাসের দ্বিতীয়ার্ধে নিম্নচাপ অথবা ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা রয়েছে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে। গেল এপ্রিল মাসজুড়ে ছিল গরমের দাপট।

মে মাসের দীর্ঘমেয়াদী পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, এ মাসে ৩ থেকে ৫ দিন বজ্র ও শিলা বৃষ্টিসহ কালবৈশাখী ঝড় এবং ২ থেকে ৩ দিন তীব্র কালবৈশাখীর আভাস রয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক আজিজুর রহমান বলেন, এ মাসে দেশের কোথাও কোথাও ১ থেকে ৩টি মৃদু অথবা মাঝারি তাপপ্রবাহ এবং ১ থেকে ২টি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। মে মাসে বঙ্গোপসাগরে ১ বা ২টি লঘুচাপ হতে পারে। যার মধ্যে একটি মাসের দ্বিতীয়ার্ধে নিম্নচাপ অথবা ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। খবর বিডিনিউজের।

চলতি মাসে নদনদীতে স্বাভাবিক প্রবাহ বিরাজ থাকতে পারে। তবে উজানে ভারি বর্ষণের ফলে উত্তরাঞ্চল ও উত্তর পূর্বাঞ্চলের কোথাও কোথাও পানি বিপৎসীমার উপরে যেতে পারে। বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান জানায়, আগামী ২৪ ঘণ্টায় দেশের উত্তর পূর্বাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন উজানে ভারি থেকে অতি ভারি বর্ষণ হতে পারে। তাতে সিলেট, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলার প্রধান নদনদীতে পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি উঠে আসতে পারে।

১ থেকে ১৯ এপ্রিল দেশের বিভিন্ন স্থানে মাঝারি থেকে তীব্র এবং ২০ থেকে ৩০ এপ্রিল তীব্র থেকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যায়। পুরো মাসে ১৬ দিন দেশের বিভিন্ন স্থানে কালবৈশাখী হয়েছে। ২৭ এপ্রিল সিলেট ও ২৮ এপ্রিল শ্রীমঙ্গলে সর্বোচ্চ ৮৯ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়া রেকর্ড করা হয়েছে। তবে দেশের বেশিরভাগ এলাকা ছিল বৃষ্টিশূন্য।

৩১ মার্চ থেকে টানা দাবদাহের মধ্যে ৩০ এপ্রিল যশোরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪৩.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাধীনতার পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড। আজিজুর রহমান জানান, এপ্রিলে সারাদেশে সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে ৩.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও ২.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি ছিল। আর সারাদেশে গড় তাপমাত্রা ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি ছিল। বাতাসে তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কম হলে তাকে মৃদু তাপপ্রবাহ ধরা হয়। ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রির কম তাপমাত্রাকে বলা হয় মাঝারি এবং ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রির কম তাপমাত্রাকে তীব্র তাপপ্রবাহ বলা হয়। আর তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রির উপরে উঠলে তাকে বলা হয় অতি তীব্র তাপপ্রবাহ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকাল ক্লাসে ফিরছে মাধ্যমিক বিদ্যালয়, প্রাথমিক রোববার
পরবর্তী নিবন্ধঅবশেষে স্বস্তির বৃষ্টিতে শীতল পরশ