দলে প্রতিযোগিতা থাকবে, তবে ব্যক্তির চরিত্রহনন বরদাশত করা হবে না

মহানগর আ.লীগের আলোচনা সভায় নাছির

আজাদী প্রতিবেদন | বুধবার , ১১ জানুয়ারি, ২০২৩ at ৪:২৩ পূর্বাহ্ণ

পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে আমরা বিজয় অর্জন করেছি। কিন্তু এই বিজয় পূর্ণতা পায়নি যতক্ষণ না পাকিস্তানের কারাগারে বন্দী ছিলেন বিজয়ের মহানায়ক শেখ মুজিবুর রহমান। মুক্তিযুদ্ধে বিজয় লাভের পর বাঙালির আকাঙ্ক্ষা ছিল তাদের অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মুক্তি। ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশে প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়ে বিজয় পরিপূর্ণতা লাভ করে। গতকাল মঙ্গলবার সকালে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে চট্টগ্রাম থিয়েটার ইনস্টিটিউটে আলোচনা সভায় বক্তারা এ কথা বলেন।

সভায় সভাপতির বক্তব্যে মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেছেন, ৭২ সালের এই দিনে পাকিস্তানী কারাগার থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মাধ্যমে স্বাধীনতা পূর্ণতা পায়।

চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, বঙ্গবন্ধুর আরাধ্য সোনার বাংলা বাস্তবায়নে বিগত ১৪ বছরের নজীর বিহীন উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষায় আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার বিজয় ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই। অন্যথায় বাংলাদেশ অন্ধকারে ডুবে যাবে। এজন্য দেশবিদেশে, ঘরেবাইরে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। অতীতে আওয়ামী লীগ শত ষড়যন্ত্র চূর্ণ করে অপরাজেয় ছিল। আমাদের কোনো শক্ত প্রতিপক্ষ নেই। এটা অপ্রিয় হলেও সত্য যে, আওয়ামী লীগের প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের যেসব নেতাকর্মীর ফেসবুক একাউন্ট আছে তাদের অনেকেই বিএনপিজামায়াতসহ গণ শত্রুদের বিরুদ্ধে স্ট্যাটাস দেন না। অথচ নিজেদের দলের নেতা এমনকি সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বিরুদ্ধেও মিথ্যা ও কুরুচিপূর্ণ স্ট্যাটাস দেন। এটা জঘন্য ও আত্মঘাতি ষড়যন্ত্র। দলে নেতৃত্বের প্রতিযোগিতা থাকবেএটা অন্যায় ও অপরাধ নয়। তবে এই প্রতিযোগিতা হতে হবে গঠনমূলক ও আত্ম সমালোচনামূলক। যদি প্রতিহিংসা পরায়ন ও ব্যক্তির চরিত্রহরণ মূলক হয় তাহলে তা হবে জঘন্যতম অপরাধ এবং এটা কিছুতেই বরদাশত করা হবে না।

এদিকে সভায় কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী আজ ১১ই জানুয়ারি দারুল ফজল মার্কেটস্থ মহানগর আওয়ামী লীগ কার্যালয় সম্মুখে অবস্থান কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এছাড়াও নগরীর চারটি স্পটেঅলংকার, ইপিজেড মোড়, অঙিজেন ও বহদ্দারহাটে একই সতর্কতামূলক কর্মসূচি পালন করা হবে।

মহানগর আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আলহাজ্ব শফিকুল ইসলাম ফারুকের সঞ্চালনায় সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি আলহাজ্ব নঈম উদ্দীন চৌধুরী, অ্যাড ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, আলহাজ্ব খোরশেদ আলম সুজন, উপদেষ্টা সফর আলী, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য আলহাজ্ব আবদুচ সালাম, নোমান আল মাহমুদ, শফিক আদনান, অ্যাড. শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, চন্দন ধর, মশিউর রহমান চৌধুরী, আনছারুল হক, অধ্যক্ষ আসলাম হোসেন, আবুল হাসেম বাবুল, আবছার উদ্দীন চৌধুরী, মোজাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, ইকবাল হাসান।

এছাড়া উপস্থিত ছিলেন, সহ সভাপতি অ্যাড. সুনীল কুমার সরকার, উপদেষ্টা শেখ মোহাম্মদ ইছহাক, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য হাছান মাহমুদ শমসের, মো. হোসেন, আব্দুল আহাদ, আবু তাহের, ডা. ফয়সল ইকবাল চৌধুরী, শহিদুল আলম, নির্বাহী সদস্য আবুল মনছুর, সাইফুদ্দীন খালেদ বাহার, আব্দুল লতিফ টিপু, মো. জাবেদ, হাজী বেলাল আহমদ, মোর্শেদ আক্তার চৌধুরী প্রমুখ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধরাঙ্গুনিয়ায় সরিষায় স্বপ্ন বুনছে কৃষক
পরবর্তী নিবন্ধনন্দনকাননে ভাঙা হচ্ছিল পুরাতন ভবন, রাস্তায় আছড়ে পড়ল দেয়াল